তানভীর আহমেদ, গাজীপুর: শীতের প্রকোপ কমার পর থেকেই বাড়তে শুরু করে মশার প্রকোপ। ঘরে বাইরে মশার উৎপাতে অতিষ্ঠ শ্রীপুর পৌরবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ সময়মত ড্রেন ও পাড়া মহল্লার অলিগলির ময়লা আবর্জনা পরিস্কার পরিছন্ন না করায় মশার উপদ্রপ বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ইসলামের টানে অভিনয় ছাড়লেন ঈশিকা
বিশেষ করে পৌর এলাকাতে যেসব ড্রেন রয়েছে সেসব ড্রেনগুলো অনেক নাজুক। নিয়মিত ড্রেন পরিস্কারের অভাবে প্রায় সময় জলাবদ্ধতা থাকায় গ্রীষ্মকালীন উষ্ণতা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়তে থাকে মশার উপদ্রপ। ফলে ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, চিকুনগুনিয়া, এডিসসহ মশা বাহিত নানা রোগ ছড়াচ্ছে চারিদিকে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে যত্রতত্র ময়লা থাকার কারণে শতভাগ কার্যকর নয় ড্রেনেস ব্যবস্থা। ফলে সামান্য বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক রাস্তা ও অলিগলি পানিতে ডুবে যায়। এ কারণে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ পরিস্তিতির আশংকা করছে স্থানীয়রা। তবে স্থানীয়দের অভিমত শুধু বৃহত্তর কর্মযজ্ঞ নয়, পরিকল্পিতভাবে অপরিছন্ন ড্রেনেস ব্যবস্থা ও ময়লার স্তুপ অপসারণ করলে খুব সহজে ও দ্রুত মিলতে পারে মশার যন্ত্রনা থেকে মুক্তি।
এবিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর আরএমও জনাব প্রণয় কুমার দাস, বলেন একটি প্রাপ্তবয়স্ক মশা যে কোন স্থানে বংশবৃদ্ধি করতে পারে তবে মশার অত্যাচারে বিরক্ত না হয়ে সচেতন হলেই সুরক্ষিত থাকা সম্ভব। অর্থাৎ বাড়ির ভিতর বাহিরসহ সমস্ত স্থান ও তার সাথে সমস্ত পাত্র, যেখানে অযথা জল জমে থাকে ও মশারা ডিম পাড়তে পারে, যেমন টায়ার, ব্যারেল, প্লাস্টিকের ড্রাম, জেরিকেন ও ময়লা আবর্জনায় মধ্যে বংশবৃদ্ধি করা পছন্দ করে।
আরও পড়ুন: রাবিতে আদিবাসী কোটা পুনর্বহালের দাবি
এছাড়াও ফ্রিজের ট্রে, রান্নাঘরের র্যাক, যেখানে ধোয়া বাসনপত্র রাখা হয়, জল জমে থাকা রান্নাঘরে, বাথরুমের ড্রেন, কুলার,বাথরুম ইত্যাদি। প্লাস্টিকের জার, বোতল, টায়ার, পাখিদের স্নান ও খাবার জন্য জলের পাত্র ও বাড়ীর আশপাশের ঝোপঝাড় পরিস্কার রাখলে মশার দৌরাত্ব্য অনেংকাশে কমে যাবে।
মশা নিধন সম্পর্কে শ্রীপুর পৌরসভার সচিব রফিকুল হাসান বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেছি খুব দ্রুত কার্যক্রম শুরু হবে।
সান নিউজ/এনকে