এহসানুল হক, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় (১০ এপ্রিল) সোমবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে মৌসুমের প্রথম ঝড় বয়ে গেছে। হঠাৎ ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ও শিলা বৃষ্টিতে লন্ডভন্ড উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের পার্লামেন্টে ইমরান খান
বিশেষ করে উপজেলার ১ নং ঈশ্বরগঞ্জ সদর, ৪নং আঠারবাড়ি,৫ নং জাটিয়া,৬ নং মাইজবাগ ও ৯নং উচাখিলা ইউনিয়নে আকস্মিক ঘুর্ণিঝড়টি ভয়ানক রূপ ধারণ করার ফলে গাছ পালা, বাড়ী ঘর ভেঙে চুরমার সহ বৈদ্যুতিক তার ছিরে যায়, যার ফলে অন্ধকারে চাদরে ঢেকে যায় ১ নং ঈশ্বরগঞ্জ সদর ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলা।
ঝড়ের সাথে বড় বড় শিলা পাথর পরার ফলে কৃষকের ঘরে ধান তোলার স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে গেলো। সেই স্বপ্ন আর পুরণ হলোনা। এই ঝড়ো বাতাস যে জমির উপড় দিয়ে বয়ে গেছে সেখানেই ক্ষতির পরিমানটা বেশী হয়েছে। শিলা পাথর পরার কারণে অনেক পরিবারের মানুষের ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: দেশের ৯৮ ভাগ এলাকায় ফোর-জি পৌঁছেছে
বর্তমানে তারা মহা সংকটে। অনেকেই হারিয়েছেন মাথা গুজার জায়গাটাও। ক্ষতি গ্রস্থপরিবারদের প্রতি সদায় হওয়ার আকুতি জানিয়েছেন পরিবারের লোকজন।
উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের ঘাগড়া পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল বারেক প্রতিবেদকে জানান, বাজানগো রাইতে(রাতে) তুফানে আমার ২৫ কাটা বোরোধানের বেকটি (সবগুলো) ক্ষেত মাডির মধ্যে (মাটিতে) বিছাইয়ালছে।সংসার ও পুলাপাইনের পড়ালেহার খরচও চলে ধানের উপরে।অহন(এখন) সারা বছর কিতা খাইয়াম ( কি খাব)। একথা বলার সময় তার চোখে মুখে ছিল চিন্তার ভাজ।
আরও পড়ুন: ব্যর্থ নেতৃত্ব থেকে মুক্তি চায় বিএনপি
এদিকে পৌর এলাকার শিমরাইল গ্রামের বাসিন্দা মাজহারুল জানান, ২৫ বছরের মধ্যে এমন ঘুর্ণিঝড় আমি দেখিনি। আমাদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।আমাদের বড় বড় অনেক গাছ ভেঙে গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন,প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়নি। এই নিয়ে কাজ চলছে। যে সব জমির ধানে সবে মাত্র শীষ এসেছে বা বের হয়নি ঐ জমির ধানের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে।
সান নিউজ/এনকে