সানাউল্লাহ, বরগুনা: বরগুনায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অহিদুল বিশ্বাস (২৫) নামে এক যুবককে হত্যা চেষ্টা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে বরগুনা পৌর এলাকার শিপেরখাল গ্রামের দেলোয়ার বিশ্বাসের বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন : মানচিত্র থেকে হারাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
অহিদুল বিশ্বাস সোনাখালী শিপেরখাল গ্রামের খান জাহান বিশ্বাসের ছোট ছেলে। সে মোটরসাইকেল রেন্ট-এ-কার গাড়ি চালায়।
ঐ দিন রাত ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে চিকিৎসা জন্য বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে। তাৎক্ষনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান কর্তব্যরত চিকিৎসক।
পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে অহিদুল বিশ্বাস শিপেরখাল এলাকা থেকে বাসায় যাবার পথে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জোরপূবক তুলে নিয়ে দেলোয়ার বিশ্বাসের বাসার পাশে বসে হত্যা চেষ্টা চালায়।
আরও পড়ুন : মানচিত্র থেকে হারাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম
একই এলাকার খলিল বিশ্বাসের নেতৃতে ২০/২৫ জনের একটি দল অহিদুলকে দেশিয় অস্ত্র ও পিস্তল দিয়ে হত্যার উদ্যেশ্যে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বার আঘাত করেন। সাথে থাকা ৮৭ হাজার টাকা ও একটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। অহিদুলের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে কোন মতে প্রানে বাচেন তিনি। ঘটনাস্থল থেক ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে আহত অবস্থায় অহিদুলকে সদর থানায় নিয়ে আসেন হামলাকারীরা। তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা আঃ হালিম বিশ্বাস, গনি বিশ্বাস সহ একাধিক ব্যাক্তি বলেন খলিল বিশ্বাশের নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একটি দল দেশিয় অস্ত্র নিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হামলা চালান। অহিদুল মারাত্মক আহত হয়েছে। হামলা কারীরা এলাকায় মাদক ও সন্তাসের রাজত্ব কায়েম করছে।
হাসেম নামের এক ব্যাক্তি বলেন ঔ রাতে হামলাকারিরা ২০/২৫ জন আমার বাসার সামনে থেকে যাচ্ছিল। তাদের পরিচয় জিগ্যেস করলে তারা ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দেয়।
আরও পড়ুন : সংকট আরও গভীর শ্রীলঙ্কায়
গনি বিশ্বাস নামের আরেক ব্যাক্তি বলেন বলেন হামলার পর থানায় গিয়ে দেখি আমার ভাইয়ের সারা শরীরে রক্ত। তাকে তাখনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করি।
অহিদুলের বাবা খান জাহান বিশ্বাস বলেন, খলিল বিশ্বাসের নেতৃতে আমার ছোট ছেলের উপর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় ছেলে গুরুতর আহত হয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হলে উন্নত চিকিৎসা জন্য বরিশাল পাঠানো হয়। তার সাথে মোটরসাইকেল কিস্তির ৮৭ হাজার ও মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নেন হামলাকারিরা।
তিনি আরও বলেন, হামলার সাথে শিপের খাল গ্রামের জলিল, রফিক, সবুজ, কামাল, রাব্বি, ছাইদুল, নুপুর, রব, আকলিম, বাবুল, পার্শবর্তী গৌরিচন্না ইউনিয়নের মনসাতলী গ্রামের সাইদুল, তোতা,ইয়াছিন,নিলু,মনির সহ অন্তত ১০/১৫ জনের একটি দল ছিল। চিকিৎসা শেষে ছেলে বাড়ি ফিরলে মামলা দায়ের করবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন : সংকট আরও গভীর শ্রীলঙ্কায়
অভিযুক্ত খলিল বিশ্বাস সহ অভিযুক্তদের বক্তব্য নেবার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
বরগুনা জেলা গোয়েন্ধা শাখা ওসি আবিদুর রহমান বলেন, ঐ রাতে আমাদের কোন ডিবি পুলিশ ঐ এলাকায় যায়নি।
সান নিউজ/এনকে