নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর সদরঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে সোমবার (২৯ জুন) লঞ্চের ধাক্কায় অপর লঞ্চ ডুবির ঘটনার পরদিন আরও একজনের মরদেহ পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা।
সোমবার রাতভর তল্লাশির পর এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় আবার তল্লাশি শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে উল্টানো অবস্থায় নদীর তলদেশ থেকে লঞ্চটি পানির উপর তুলে আনতে সক্ষম হন তারা।
এদিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে এটিকে পরিকল্পিত বলে মনে করছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সোমবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকদের গাফিলতি আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।’
খালিদ মাহমুদ জানান, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌদুর্যোগ তহবিল থেকে লঞ্চ দুর্ঘটনায় মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে দেড় লাখ টাকা করে দেয়া হবে। তাৎক্ষণিকভাবে দাফনের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে ১০ হাজার করে টাকা এবং ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
সোমবার সকাল পৌনে আটটার দিকে মর্নিং বার্ড নামে একটি লঞ্চ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথে ফরাশগঞ্জ এলাকায় ময়ূর-২ নামের লঞ্চের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে ডুবে যায় সেটি। কেরানীগঞ্জের একটি ডকইয়ার্ড থেকে মেরামত শেষে ময়ূর-২ নদীতে নামানোর সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও কোস্টগার্ড ২৩ জন পুরুষ, ৭ জন নারী এবং তিনটি শিশুসহ ৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
এরপর রাতে দুর্ঘটনার ১৩ ঘণ্টা পর ১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।