এহসানুল হক (ঈশ্বরগঞ্জ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে দুই সন্তানের জননীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রুবেল মিয়ার বাড়ি উপজেলার ২নং সোহাগী ইউনিয়নের সাহেব নগর গ্রামে। ঘটনাটি ঘটে সোহাগী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড কাচারি সংলগ্ন একটি ভাড়া বাসায়।
আরও পড়ুন : একাদশের রেজিস্ট্রেশন শুরু
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে স্বামী মোঃ রুবেল মিয়া।
জানা গেছে, গত ২০ বছর আগে মোঃ রুবেল মিয়া তার স্ত্রীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তাদের ১৫ ও ১১ বছর বয়সী দুটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই জীবিকা নির্বাহের জন্য আশুগঞ্জ থাকতেন স্বামী রুবেল।
স্বামী বাড়িতে না থাকার সুবাদে গত ২ বছর যাবৎ একই গ্রামের মৃত আঃ গফুরের ছেলে মোঃ মতি মিয়া (৪৩) সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে লিপ্ত হয়।
আরও পড়ুন : ঢাকা-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক চমৎকার
গত ১৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) স্বামীর অবর্তমানে ঘর থেকে নগদ বিশ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন আসবাব নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে যান স্ত্রী। খবর পেয়ে বাড়ি এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বামী।
খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে গত ছয়দিন আগে সে জানতে পারে তার স্ত্রী সোহাগী বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে মতি মিয়ার সাথে থাকছেন।
এলাকাবাসী ও ঘর মালিক সূত্রে জানা যায়, গত তিন মাস যাবৎ এই মহিলা তার দুই সন্তানের সাথে ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছেন এবং এই ঘরে মতি মিয়ার অবাধ যাতায়াত ছিলো।
আরও পড়ুন : ডনবাস যুদ্ধ হবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশী চা বিক্রেতা বলেন,মতি মিয়া শুধু যাতায়াতই করতেন না।আমরা তাকে গভীর রাতেও বাসা থেকে বের হতে দেখেছি।
এ বিষয়ে মতি মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ভাড়া বাসায় তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে মতি মিয়া বলেন, রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রীর তালাক হয়ে গেছে। পরে সাংবাদিক পরিচয় দিলে কল কেটে দিয়ে ফোনটি বন্ধ করে রাখে।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ৩০
এদিকে রুবেল মিয়ার স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সেও কল ধরে কথা বলেনি। অন্যদিকে তালাকের বিষয়ে রুবেল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি ডিভোর্সের কোন কাগজ হাতে পাইনি। মতি মিয়ার কথা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। মতি বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হত্যার করার হুমকি দিয়েছে।
আরও পড়ুন : আলজেরিয়ায় গ্যাস বিস্ফোরণে নিহত ৯
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল কাদের মিয়া কোন মন্তব্য দিতে রাজি হননি।
সান নিউজ/এইচএন