শফিক স্বপন, মাদারীপুর : মাদারীপুরের ডাসারের ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বডিকন্টাকে লিবিয়া হয়ে ইটালিতে পাঠানো হচ্ছে উর্তিবয়সের ছেলেদের। আর তাদের টাকা লেনদেনের ভিডিও ও ছবি ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকার সচেতন মহলের ক্ষোভ।
আরও পড়ুন: প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী বিচারপতি হলেন কেতানজি
সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুক ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের নব গঠিত ডাসার উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ মাতুব্বর, অতি তারাতারি বড়ো লোক হওয়ার স্বপ্নে দ্বিতীয় বারের মতো ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়, লিবিয়ার মাফিয়া চক্রের সাথে যোগাযোগ করে ইটালিতে লোক পাঠানো শুরু করেন। গত মাসে গোপালপুর ইউনিয়ন সহ আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় ছাব্বিশ জন উর্তিবয়সের ছেলেকে,বডিকন্টাক্টে জনপ্রতি নয় লাখ টাকার বিনিময় পাঠানো হয়।
লিবিয়া পৌছাঁলেই, পরিবারের স্বপ্ন পুড়ে ছাই। তারা সবাই লিবিয়ার মাফিয়া চক্রের হাতে ধরা পড়ে। আর শুরু অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতনের আর্তচিৎকার মোবাইলের মাধ্যমে শুনানো হয় তার পিতা-মাতাকে। আর বলা হয়, প্রত্যেকজন আরও ৮ লাখ ১০হাজার করে টাকা দিবি,না হয় এখানেই তোরা শেষ।
আর মাফিয়া চক্রের হাতে আটকের ঘটনা মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরে এলাকায়। ইতিমধ্যে সেই মানবপাচারের টাকা লেনদেনের ভিডিও ও ছবি ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকের মাধ্যমে। সেখানে দেখা চেয়ারম্যান নিজেই ইউনিয়ন পরিষদের তার রুমে টাকা লেনদেন করেন।
চেয়ারম্যানের ভয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, আমরা সরাসরি চেয়ারম্যানের হাতে নয় লাখ করে টাকা দেই,সে ইটালি পৌঁছাবে। এখন আমাদের ছেলা লিবিয়ার মাফিয়াদের হাতে বন্ধি। তারা অমানুষিক নির্যাতন করে আর টাকা দাবি করে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলে গুলিতে নিহত ২
তারা আরও বলেন, আমরা থানায় গিয়েছিলাম মামলা করার জন্য,কিন্তু আমাদের কোর্টে মাধ্যমে মামলা করতে বলেন। আর মামলা করবো, চেয়ারম্যান এখবর শুনে আমাদের বলে, মাফিয়াদের সাথে আমার যোগাযোগ হয়। আমাকে যদি মামলায় দেওয়া হয় তাহলে তোমাদের ছেলেদেরকে কে ছাড়াবে।
এখন সেই ভয়ে মামলাও দিতে পারি না। আমরা আমাদের ছেলেকে ফেরত চাই। শুধু গোপালপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের আয়া গণমাধ্যমে জানান পুরো বিষয়।
এলাকার সুশীল সমাজের সুধীজনরা বলেন, এটা কি কাজ করলো চেয়ারম্যান। টাকার প্রতি এতো লোভ। নিজ এলাকার ছেলেদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়,টাকার লোভে।
ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিতে সাহস পায়না,তার ছেলে বন্ধি। কিন্তু যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে মানবপাচারের টাকা লেনদেনের ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হয়েছে, প্রশাসনের কাজ কি।
অন্য কেউ কোন বিষয় হলেতো সাথে সাথে প্রশাসন হাজির হয়ে আটক করে,তাহলে এখানে নয় কেন। গত দুইদিন আগেও এই পথে ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে ১০ কিলোমিটার যানজট
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ফরহাদ মাতুব্বরের সাথে যোগাযোগ হলে তিনি বলেন, আমার রুমে টাকা দেখছেন,এটা এক আত্মীয়ের টাকা।
সাননিউজ/এমআরএস