সুমন মিয়া, কিশোরগঞ্জ : কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানায় দিনমজুর সবুজ আলি পিতা মৃত মুক্তোর উদ্দিন। বাবা মারা যাওয়ার পর খুবই অভাব অনটনের মাঝে বেড়ে ওঠে সবুজ আলী, অভাবের তাড়নায় চলে যায় ঢাকার কাঁঠালবাগানে।
আরও পড়ুন: আমরা অত্যন্ত সতর্ক
ভ্যান গাড়ি চালিয়ে অসুস্থ মা ও ছোট ভাইবোনদের লালন-পালন করেন সবুজ আলী,বেশ কিছুদিন পর নানার বাড়ি এসে জানতে পারে তার মামাতো ভাই সিরাজ আলী জমির মাঠ রেকর্ড করে ফেলেছে তার বাবাকে বাদ দিয়ে তাদের তিন ভাইয়ের ও মায়ের নামে। বঞ্চিত করেছে তার ফুফু মৃত খাইরুননেসা ও তার মামা মৃত নছর আলীর প্রাপ্ত অংশীদারিত্ব থেকে সবুজ আলী তার মার জায়গা চাইতে গেলে সবুজ আলীকে লাঠিসোটা নিয়ে ছুটে আসে মারার জন্য এবং হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয় সিরাজ আলী তৎপর সেই জায়গায় বসতঘর নির্মাণ করে ভূমিদস্যু সিরাজ আলী ও তার ভাইয়েরা।
সুবিচার পাওয়ার আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে সবুজ আলী ও বাবুল মিয়ার পরিবার কিন্তু সুফল মেলেনি আজও। সবুজ আলী স্বাধীন সংবাদ কে জানায়। আমার নানার নাম মরহুম সায়েব আলী,আমার নানার দুই ছেলে ও এক মেয়ে বড় ছেলের নাম জনব আলী,ছোট ছেলের নাম নছর আলী,আর মেঝ মেয়ের নাম খাইরুননেসা,আমার নানার মৃত্যুর পরে আমার নানার সম্পত্তির ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হওয়ার কথা ছিল তিন জন কিন্তু মাঠ রেকর্ডে দেখা যায়।
আমার মামাতো ভাই সিরাজ আলি ও তার মা ভাইয়েরা সহ পাঁচজন কিভাবে আমার নানার সম্পত্তির ওয়ারিশ হতে পারে। তা আমার বোধগম্য নয় তারাতো আমার নানা সাহেব আলীর সন্তান নয় তারা তিন ভাই আমার মামা জনব আলীর সন্তান ও তার স্ত্রী। তাই আমি এলাকার মেম্বার ও মাদবরের কাছে গিয়েছি ও সুবিচার চেয়েছি। কিন্তু তারা বলে সিরাজ আলি ও তার ভাইয়েরা খুব খারাপ মানুষ তারা কেউ আমাদের কথা মানবেনা ও শুনবেনা।
কারণ সিরাজ আলী সরকারি চাকরি করে তার বিরুদ্ধে আমরা যেতে পারবোনা আমরা গেলে সিরাজ আলী গংরা আমাদের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে আপনারা অন্য কোনো ব্যবস্থা করেন আমরা এর ভিতরে নাই। আমি সবুজ আলী দিন আনি দিন খাই একদিন কাজ না করলে পরের দিন চুলা জ্বলে না। আমি কার কাছে যাবো কি করে মামলা করবো এত টাকা কোথায় পাব,তাই এখন পর্যন্ত মামলা করতে পারিনি আমার মার ওয়ারিশের সত্ত আনতে পারিনি।
আমার মামাতো ভাই সিরাজ আলী গংরা জবর দখল করে রেখেছে আমার মা মৃত খায়রুন্নেসা ও আমার ছোট মামা মৃত নছর আলীর সম্পত্তি। এই ব্যাপারে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায় সিরাজ আলী ও তার ভাইয়েরা অত্যন্ত জঘন্য ও নোংরা মনের মানুষ। এরা পরের হক মেরে খায় আবার তাদের কেই মারতে যায় কতটা খারাপ মানুষ হলে এরকম জঘন্য কাজ করতে পারে।
দাদার সম্পত্তির লোভে পড়ে বাবাকে ভাই বানিয়ে আর মাকে বোন বানিয়ে সম্পত্তি সমান ভাগ করতে পারে সেটা আমাদের কারোই জানা নেই। এলাকাবাসী আরও জানায়। প্রায় সময় সিরাজ আলীর পরিবার মৃত নছর আলীর ছেলে বাবুল মিয়ার পরিবারের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায় ও বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার জন্য নানা রকম অপকৌশল করে সিরাজ আলি গংরা।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে খালেদা জিয়া
সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন আমরা গরীব মানুষ মামলা-মোকদ্দমা চালাইবার মত আমাদের কোন সামর্থ্য নাই। তাই সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে সাহায্যের জন্য আবেদন করছেন ও সুবিচার চেয়েছেন অসহায় সবুজ আলীর পরিবার।
সাননিউজ/এমআরএস