মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের কাঠপট্টি লঞ্চঘাট ও পঞ্চসার ইউনিয়নের নয়াগাঁও এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে দুই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আর জোট সরকার নয়
বুধবার (৬ এপ্রিল) সকালে মুক্তারপুর নৌ পুলিশ নদীতে ভাসমান অবস্থায় লাশ দুটি উদ্ধার করে।
কাঠপট্টির এলাকা থেকে উদ্ধার তরুণের নাম রিয়াম হোসেন (১৭)। সে ভোলার চরটিটিয়া এলাকার আবুল কালামের ছেলে। রিয়াম পরিবারের সাথে মিরকাদিম পৌরসভার মাস্তান বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসত করতো।
অপরদিকে, নয়াগাঁও থেকে উদ্ধার তরুণের নাম আলমগীর হোসেন(১৮)। আরাফাত পঞ্চসার ইউনিয়নের গোসাইবাগ এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে কাঠপট্টি ঘাট এলাকার নদী থেকে একটি লাশ ভাসছিল পরে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে রিয়ামের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে নয়াগাঁও এলাকার ধলেশ্বরী নদী থেকে আলমগীর হোসেনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমের সঙ্গে সংলাপে ইসি
মুক্তারপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করি। লাশের গায়ে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। মানুষের মুখে শুনেছি, তারা নেশাজাতীয় দ্রব্য খেয়ে পানিতে নেমেছিল। পাঁচজন একসাথে পানিতে নেমেছিল। এর মধ্যে তিনজন উঠতে পারলেও নিহত দুইজন নিখোঁজ ছিল। লাশ উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রিয়ামের ভাই মো. হাসান অভিযোগ করে জানান, গত সোমবার দুপুর ২টায় রুবেল (২৪), রনি (২৩), পারভেজ (২২), রিয়াম(১৭) তারা বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায় আলমগিরকে। তারপর বিকালে রুবেল ও পারভেজ এসে বলছে ফোন ও নগদ ৭০০ টাকা নিয়ে পালিয়েছে আলমগির। এরপর খোঁজখবর করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। সোমবার রাতে ৮ -১০ জন মানুষ এসে আলমগীরের খোঁজ করে। কেনো খোঁজ করা হচ্ছে জানতে চাইলে তারা বলেন ,পরে জানতে পারবেন।
বুধবার ( ৬ এপ্রিল ) সকালে ভাইয়ের লাশ পেয়েছি। গলায়, শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্বের জের ধরেই এ হত্যাকান্ড হয়েছে বলে দাবি তার।
নিহত আলমগীরের মামা মোহাম্মদ হোসেন বলেন,আমার একটাই ভাগিনা। আমার বোনের আর কোন ছেলে মেয়ে নেই। সোমবার ভাগিনাকে ওর বন্ধুরা বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। কমলাঘাট এলাকায় নেশা-পান করেছে। এরপর আমার ভাগিনাকে পানিতে ফেলে মেরে ফেলেছে। অপুর্বর সাথে আলমগীরের এর আগে ঝগড়া হয়েছিল। তখন ভাগিনাকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বনানীতে মাইক্রোবাসে আগুন
আরও বলেন, মঙ্গলবার ( ৫ এপ্রিল ) রনি ও রুবেলকে ধরে পুলিশে দিয়েছি। তারা পুলিশের কাছে অস্বীকার করেছে। আমরা আমার ভাগিনা হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঘটনাটি জানতে পেরে মঙ্গলবার দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এ দু'জন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। প্রকৃত ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
সাননিউজ/এমআরএস