নিজস্ব প্রতিনিধি:
একের পর এক মরদেহ! কিছুক্ষণ পরপরই একেকজন ডুবুরি মরদেহ নিয়ে পানির ওপর ভেসে উঠছেন। বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনাস্থলে একসঙ্গে ৪-৫ জন ডুবুরি উদ্ধার কাজ করছেন। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে মরদেহ তুলে তারা যেন শেষ করতে পারছেন না। এখন পর্যন্ত ৩৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অনেকে নিখোঁজ রয়েছে।
সোমবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মুন্সীগঞ্জ থেকে আসা দোতলা ‘মর্নিং বার্ড’ লঞ্চটি চাঁদপুর থেকে আসা ময়ূর-২ লঞ্চের ধাক্কায় শ্যামবাজার এলাকার ডুবে যায়। লঞ্চে ৫০ যাত্রী ছিল জানা গেছে। তবে স্থানীয়দের দাবি, লঞ্চে শতাধিক যাত্রী ছিল। দু’টি লঞ্চের সংঘর্ষের পর এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী, নৌপুলিশ, থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা।
ঘটনাস্থলেই ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, এখনও নিখোঁজ রয়েছে অসংখ্য। নিখোঁজদের স্বজনরা বুড়িগঙ্গার তীরে এসে ভিড় করেছেন।
রাজ্জাক নামে একজন বলেন, তার বোন জামাই মুন্সীগঞ্জ থেকে সকালে ঢাকায় আসার কথা। এখনও তার কোন সন্ধান পাননি।
সিদ্দীক নাম এক যবুক বলেন, তার মামা কালাম নিখোঁজ। তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
কোস্ট গার্ড সদর দফদরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার হায়াৎ ইবনে সিদ্দিক বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও কোস্ট গার্ডের উদ্ধার অভিযান চলমান।
উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘লঞ্চের ভেতরে অনেক মরদেহ রয়েছে। আমরা শেষ পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালাবো। নদীর নিচে ডুবে যাওয়া লঞ্চটির অবস্থা স্থিাতশীল রয়েছে। আমাদের সঙ্গে নৌপুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটি ও থানা পুলিশ কাজ করছে।'