এম.এ আজিজ রাসেল, কক্সবাজার : অত্যাধুনিক কমার্শিয়াল পৌর ভবন নির্মাণসহ কক্সবাজার পৌরসভাকে আরও ৫শ’ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আরবান ডেভেলপমেন্ট সিটি গভর্নমেন্ট প্রজেক্ট (ইউডিসিজিপি) এর আওতায় গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অর্থায়ন করছে জাপান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (জাইকা)।
আরও পড়ুন : আমি ব্যবসায়ী এটাই আমার অপরাধ
এদিকে বহুল প্রত্যাশিত প্রকল্পটি ইতোমধ্যে একনেকে অনুমোদন হয়ে গেছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা সরূপ তাৎক্ষনিক শুকরিয়া সভা করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান।
মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে নগর পিতা বলেন,"বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের শহর কক্সবাজার। তাই এ পৌরসভার প্রতি সরকার প্রধানের আন্তরিকতা এবং সু—নজর থাকে সবসময়। যার ধারাবাহিকতায় দেড়শো বছরের জরাজীর্ণ সড়ক, উপ—সড়ক, কালভার্ট, ড্রেন, ফুটপাত আধুনিকভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি অন্ধকার শহরকে আলোকিত করতে স্ট্রিট লাইট স্থাপনসহ প্রায় তিন শ’ কোটি টাকার কাজ এখন অনেকটা শেষ পর্যায়ে। এসবের মধ্যে পৌর এলাকার উন্নয়নে আরও ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সংশ্লিষ্টদেরও ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান মেয়র মুজিব।
তিনি বলেন, কক্সবাজারকে জাতির জনকের কন্যা এতোটাই ভালবাসেন যে, চাওয়া মাত্রই শত শত কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ দিয়ে দিচ্ছেন তিনি। যা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য। এ জন্য মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি পৌরবাসীর কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।"
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের সরকারি ওষুধ ভারতে বিতরণ!
কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট একেএম তারিকুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পৌরসভার প্যানেল মেয়র—২ হেলাল উদ্দিন কবির, কাউন্সিলর ওমর সিদ্দিক লালু, কাউন্সিলর এম.এ মনজুর, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী নুরুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী রুমেল বড়ুয়া ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলমসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নুরুল আলম জানান, জাইকার অর্থায়নে যে ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে তার মধ্যে অত্যাধুনিক কমার্শিয়াল একটি পৌর ভবন, বিদেশী আদলে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নির্মাণ, কস্তুরাঘাট এলজিইডি ব্রীজ থেকে এয়ারপোর্ট রোড পর্যন্ত রাস্তা ও সেতু নির্মাণ, হোটেল সায়মান সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যন্ত স্ট্রিট লাইট, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ, বিমানবন্দর কালভার্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত ফুটপাতসহ আরসিসিসি ড্রেন এবং ঢাল পুনর্বাসন (আরসিসি ড্রেনেজ), ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ড ভূগর্ভস্থ জল সরবারাহ ব্যবস্থা স্থাপন, বিমানবন্দর কালভার্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত ফুটপাতসহ আরসিসিসি ড্রেন এবং ঢাল পুনর্বাসন (ব্লেক লাইনিং), ৯, ১০, ১১নং ওয়ার্ড ভূগর্ভস্থ জল সরবারাহ ব্যবস্থা স্থাপন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষে যানবাহন এবং ভারী সরঞ্জাম সংগ্রহ, এসঅএমপাড়ায় স্যানিটারি ল্যান্ডফিল সাইটের উন্নয়ন, বিদ্যমান রাস্তার আলোকে এলইডিতে আপডেট এবং সমুদ্র সৈকতে সোলার প্যানেলসহ এলইডি ইনস্টল করাসহ গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু প্রকল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন : কুয়েত সরকারের পদত্যাগ
সচেতন মহল মনে করছেন, চলামান ৩০০ কোটি এবং জাইকার সদ্য অনুমোদিত ৫০০ কোটি টাকার সবগুলো প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এই কক্সবাজার হবে বিশ্বের দ্বিতীয় সিঙ্গাপুর।
সান নিউজ/এইচএন