টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : টাঙ্গাইলে প্রেমের সম্পর্ককে কেন্দ্র করে বিয়ের দাবিতে কিশোর ভাতিজার বাড়িতে উঠেছেন চাচি। এদিকে আইনি জটিলতায় আটকে রয়েছে বিয়ে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ও ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন : দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে
আলোচিত-সমালোচিত ঘটনাটি ঘটেছে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা করটিয়া ইউনিয়নের গোসাইবাড়ী কুমুল্লি গ্রামে। সংবাদ পেয়ে শত-শত উৎসুক জনতা ওই বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. নেছার উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গোসাইবাড়ী কুমুল্লি গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে সোহান (১৬) প্রতিবেশী সম্পর্কে চাচির (২৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। গত এক বছর ধরে চলছে চাচি-ভাতিজার নিবিড় এ সম্পর্ক।
আরও পড়ুন : অর্থপাচার বেড়েছে ৮৫ শতাংশ
মঙ্গলবার ( ২৯ মার্চ ) সকালে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক ভাতিজার বাড়িতে ওঠেন প্রেমিকা চাচি। এতে বিপাকে পড়েন উভয়ের পরিবার ও এলাকার মাতব্বরেরা।
পরে সন্ধ্যায় কিশোরের বাড়ির উঠানে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. নেছার উদ্দিনের উপস্থিতিতে সালিশি বৈঠক করেন মাতব্বর হেলাল মোল্লাহ, নজু মন্ডলসহ অনেকে।
আরও পড়ুন : কনসার্টে সরকার প্রধান !
বৈঠকে সকলের সামনে চাচি-ভাতিজা দুজনেই বিয়ের দাবি তোলেন। আইনি জটিলতা (মেয়ে বিবাহিতা-ছেলে নাবালক) থাকায় সালিশের সিদ্ধান্তে প্রেমিকা তার স্বামীকে তালাক দেন।
এ বিষয়ে করটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. নেছার উদ্দিন জানান, স্বামীকে তালাকের ব্যবস্থা করিয়ে প্রেমিক সোহাগের বাড়িতে মেয়েটিকে রেখে দিয়েছি। বিয়ের বিষয়ে আইনি জটিলতা থাকায় তাদের বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন : একই পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার আহ্বান
প্রসঙ্গত, প্রেমিকা প্রতিবেশী চাচীর দাবি তার আসল বয়স ২৩ বছর এবং প্রেমিক সোহানের প্রকৃত বয়স ২০ বছর।
সান নিউজ/এইচএন