গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দাদন ব্যবসায়ীদের দাপটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ। দাদন ব্যবসায়ীর খপ্পড়ে পড়ে হয়রানি মূলক মামলার স্বীকার হয়েছে এক কলেজ শিক্ষক।
আরও পড়ুন: সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম, সম্পাদক এমরান
জানা যায়, সুন্দরগ্ঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ দাদন (সুদখোর) ব্যবসায়ীদের খপ্পড়ে পড়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে বাপ-দাদার ভিটাবাড়ি ছাড়িয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। কৃষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, চাকুরিজীবিগণ অনেকে সাংসারিক প্রয়োজনে দাদন ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে চড়া সুদে টাকা গ্রহণ করেন।
চাকুরিজীবিরা তাদের নামে ইস্যুকৃত ব্যাংক চেক বই জামানত রেখে দাদনের টাকা গ্রহণ করেন। এ সময় তাদের নিকট থেকে ননজুডিশিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় অনেক দাদন ব্যবসায়ী। দাদনের টাকা দিতে কোন রকম সময়ের হেরফের হলে তাদের চাহিদা মতো টাকার অংক লিখে ব্যাংক শাখায় জমা দিয়ে চেক ডিজঅর্নার করে নেয়।
এ কাজে ২-১ জন ব্যাংক কর্মকর্তাও সহযোগিতা করেন বলে অনেকের অভিযোগ। চন্ডিপুর গ্রামের মৃত্যু শওকত আলীর পুত্র কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে সীচা গ্রামের মৃত্যু সাহাব উদ্দিন ডাকুয়ার পুত্র সুদ খোর শাহ আলম ডাকুয়া (মিঠু) সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সুন্দরগঞ্জ শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং ৫১১০০০২১০১১১৯ এর অনুকুলে ৬ লক্ষ টাকার চেক ডিজ অর্নারের অভিযোগ এনে সহকারী জজ আদালত -২, গাইবান্ধায় এনআই এ্যাক্ট সেকশনে একটি মামলা দয়ের করেন।
আরও পড়ুন: কঙ্গোতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ৮ শান্তিরক্ষীর মৃত্যু
যার নং ৩৩০/২০। কলেজ শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, উল্লেখিত হিসাব নং ও সিরিজ বিহীন চেক নং ৬৪৮৯৯২৫ পাতাটিও আমার নামে ইস্যু করা হয়নি। আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক মামলা করে আমাকে সামাজিক ভাবে হেয় করা হয়েছে।
সাননিউজ/এমআরএস