জাহাঙ্গীর আলম, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম): সুইডেন দূতাবাসের ফাস্ট সেক্রেটারি কন্ট্রোলার ইয়াসির আবদেল হামিদ ও সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার- জেন্ডার ইকুয়ালিটি, হিউম্যান রাইটস্ এন্ড ডেমোক্রেসি, ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন সেকশন, এ্যাম্বাসি অফ সুইডেন রেহানা খান মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলায় আসেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ার ‘দাবি মেনে নেবে’ ইউক্রেন
সৈয়দপুর বিমানবন্দর থেকে দপ্তারিক গাড়িতে সরাসরি রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে আসেন পরিদর্শক দলটি। পরিদর্শক দলটি ছিনাই ইউনিয়ন পরিষদে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং বিবিএফজি এর অভিজ্ঞতা বিনিময় ও বিবাহ-চুক্তি কর্মপরিকল্পনায় সফলতা নিয়ে আলোচনা করেন।
এরপর ছিনাই যুব সমাবেশে যোগ দেন। এ সকল কর্মপরিকল্পনা থেকে কি কি শিক্ষা ও সফলতা, প্রকল্পকাল অতিক্রমের পর ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন বিবৃতির প্রভাব নিয়ে তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পরিদর্শক দলটি বিজয়ী পিতাগণ কিভাবে বিজয়ী বা গর্বিত হয়ে উঠে, তারা কিভাবে কাজ বা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনিম। এরপর পরিদর্শক দলটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এসে ইউজি-সিএমপিসিসি-এর প্রকল্প সহযোগিতা ও বিবাহ-চুক্তি বিবিএফজি প্রকল্পের উদ্ভাবন ও কার্য সম্পর্কে আলোচনা করেন। এছাড়া প্রকল্প স্থিতিকাল অতিক্রমের পর কিভাবে জিইএমএস সম্পর্কিত দক্ষতা অর্জন করা যায়, জিইএমএস পরিচালনায় ভবিষ্যৎ সুপারিশ নিয়ে জিইএমএস শিক্ষকের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: টিপুর স্ত্রীকে র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদ
এ সময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউএনও নূরে তাসনিম পরিদর্শক দলটিকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করেন। শেষে পরিদর্শক দলটি রাজারহাট উপজেলার কার্যক্রম দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। এরপর দলটি কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছে এবং সেখানে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে সিএমপিসিসি কাজে কেমন প্রকল্প সমর্থন সে সম্পর্কিত জেলা সিএম তথ্য সংগ্রহ করেন। কোভিড-১৯ পরবর্তী বিশেষভাবে কুড়িগ্রামের জন্য সরকার ও সিইএফএম এর কর্ম পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা শেষে এসআইডিএ এর জন্য সুপারিশ বা পরামর্শ প্রদান করেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ