বন্যায়, পানিবন্দি, ৬০, হাজার, মানুষ,
সারাদেশ

বন্যায় পানিবন্দি ৬০ হাজার মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টানা বৃষ্টি ও পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের কারণে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে। শনিবার (২৭ জুন) ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৩৮ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।

উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ অব্যাহত থাকায় জেলার ২৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে প্রায় ৫শ’ হেক্টর জমির আউশ, পাট, ভুট্টা, কাউন, চিনা ও শাকসবজির ক্ষেত। এছাড়া ও নদী ভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়েছে প্রায় ২ শতাধিক পরিবার।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি ৩৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৩৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার এবং নুনখাওয়া পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরযাত্রাপুর এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। করোনার কারণে এমনিতেই কাজকর্ম নেই, তার উপর বন্যার আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে বানভাসিরা।

এই গ্রামের আবুল হোসেন ও মোজাম্মেল হক জানান, চরের আবাদ সব নষ্ট হয়ে গেছে। বাড়ির চারপাশে যারা সবজি লাগিয়েছেন সেগুলো এখন পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়াও নিচু লেট্রিন ডুবে যাওয়ায় বিপদে পরেছে নারী ও শিশুরা।

আরাজী পার্বতীপুর গ্রামের ছকিনা ও তাহেরা জানান, পুরুষ মানুষ বাইরে লেট্রিন করলেও নারীরা দুর্ভোগে পড়েছে।

এদিকে প্রচণ্ড নদী ভাঙনের মুখে পড়েছে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া, থেতরাই, বুড়াবুড়ি, বেগমগঞ্জ এলাকার মানুষ। ভাঙছে রৌমারীর কর্ত্তিমারী, চিলমারীর নয়ারহাট, কুড়িগ্রাম সদরের মোগলবাসা ও সারডোব এলকায়। গত এক সপ্তাহের ভাঙনে বিভিন্ন উপজেলা মিলিয়ে প্রায় ২ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে গেছে।

ব্রহ্মপুত্রের চর মশালের চরের বাসিন্দা মুসা মিয়া ও ভগবতির চরের জাহাঙ্গীর আলম জানান, চরের অধিকাংশ ঘর-বাড়িতে পানি উঠেছে। অনেকেই উঁচু ভিটায় থাকলেও নিচু ভিটার বাসিন্দারা নৌকা ও চৌকির উপর আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্র ও স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে।

নওয়াবশ গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, গ্রামের রাস্তাগুলো ভেঙে গর্ত হয়ে গেছে। চলাচল করা যাচ্ছে না।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, ভাঙন কবলিতদের সরিয়ে আনতে কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও শুক্রবার ভাঙন কবলিত উপজেলাগুলোতে ৩০২ মে.টন চাল ও ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

সান নিউজ/ আরএইচ

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

মা হচ্ছেন সানা সৈয়দ

বিনোদন ডেস্ক: বিয়ের ৩ বছর পর মা হতে চলেছেন ‘কুণ্ডলী ভা...

রাঙ্গামাটিতে সংঘর্ষে নিহত ১

জেলা প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ির সহিংসতার উত্তাপ রাঙ্গামাটিতে ছড়িয়...

অস্ত্রসহ আরসার কমান্ডার গ্রেফতার

জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজার জেলার উ...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ...

বুরহানউদ্দিন রব্বানী’র প্রয়াণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল...

নূরজাহান’র জন্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল...

শনিবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ

সান নিউজ ডেস্ক: প্রতি সপ্তাহের এক...

টিভিতে আজকের খেলা

স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিদিনের মতো আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বেশ...

মব কিলিং সরকার সমর্থন করে না

নোয়াখালী প্রতিনিধি : ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উ...

রিমান্ডে ডিসি মশিউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক : বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর নিউমার্কে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা