নিজস্ব প্রতিনিধি:
নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শনিবার (২৭ জুন) ওই পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওইদিনই তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
তিস্তা ব্যারাজের গেজ পাঠক (পানি পরিমাপক) নুরুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও অনবরত বৃষ্টির ফলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শনিবার (২৭ জুন) দুপুরের দিকে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে ডিমলা, জলঢাকা ও লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত উপজেলার চড়খড়িবাড়ী ইউনয়নের একটি ক্রস বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পানি শাখা) আমিনুর রশিদ জানান, উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখায় ভাটি এলাকার খালিশা চাঁপনী ও বাইশপুকুর চর প্লাবিত হয়ে বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের তথ্য মতে, চরাঞ্চলের অধিকাংশ মানুষের মাছের খামার ও পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। আবার অনেকেই গবাদি পশু, হাঁস মুরগি উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া ২০টি পরিবার অন্যত্র চলে গেছে।
এদিকে, তিস্তার বন্যায় জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্ব ছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী ও জলঢাকার গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় ১০টি চর ও চর গ্রামের ৮ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা দাবি করেছেন।
খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দোহলপাড়া গ্রামে বন্যার পানি বাড়িতে প্রবেশ করায় পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে এলাকাবাসী। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বিকালের মধ্যে তিস্তার বাঁধে আশ্রয় নিতে হবে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বের্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বন্যার পানি সামাল দিতে ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে রাখা হয়েছে।