বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও: বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড. টিএম মাহবুবর রহমানকে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির কার্যালয়ে মেইন গেটে তালা দিয়ে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২১ মার্চ) সকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতির আলোচনা সভা শেষে পাশের রুমে টেনে নিয়ে মারধর করে ছাত্রদল ও যুবদলের ৫/৭ জন কর্মী।
আরও পড়ুন: ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
ড. মাহবুব জানান, সেখানে সম্মেলনের সকল আলোচনা শেষে দলের নেতারা চলে যাওয়ার শুরু করলে ড. টিএম মাহবুবর রহমানকে কৌশলে (কথা আছে বলে) মির্জা ফয়সল আমিনের উপস্থিতিতে খোরশেদের কথা বলে মেইন গেট থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। গেট থেকে পিছনে ফিরতে না ফিরতেই গেটে তালা লাগিয়ে দিয়ে তাকে মারধর শুরু করে।
মাহবুবের চিৎকারে জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলম, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড. সৈয়দ আলম তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকালে তাকে বালিয়াডাঙ্গীস্থ নিজ বাসায় নিয়ে আসেন।
ড. মাহবুব আরও জানান, এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল আমিনের উপস্থিতিতে সকল ঘটনা ঘটেছে। এতে জেলা বিএনপি ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির কয়েকজন নেতাও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ সময় মুখচেনা কয়েকজন নেতা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।
রাতে ঠাকুরগাও জেলা বিএনপির নেতা মোহাম্মদ আলম, ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, সুলতানুল ফেরদৌস নম্র চৌধুরী, আনছারুল হক ও জাফরুল্লাহ হক দেখতে আসেন। দলীয় কার্যালয়ের ভিতরে ঘটনাটির জন্য সকলে দুঃখ প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন ও সূর্যমুখী চাষের নির্দেশ
রুহিয়া থানা বিএনপির সভাপতি আনছারুল হক বলেন, নিজ দলীয় কার্যালয়টিতে যদি নিরাপত্তা না থাকে তাহলে আমরা কোথায় নিরাপদ?
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাফরুল্লাহ জানান, এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। দলের মহাসচিব বিষয়টি জেনেছেন। তিনি শক্ত হাতে বিষয়টি দেখবেন বলে জানা গেছে।
জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলম বলেন, যখন প্রচন্ড মারধর হচ্ছিল আমি দৌঁড়ে গিয়ে তাকে বাঁচিয়েছি। মাহবুবের গায়ের ঝড়া রক্তে আমার পাঞ্জাবি ভিজে গিয়েছিল। তাকে মেরে ফেলার মতো পরিস্থিতি আমি দেখেছি।
আরও পড়ুন: মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ৫৮
জেলার বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ বলেন, এটি মেনে নেওয়া খুব কষ্টকর। নিজ দলীয় কার্যালয়ে আটকে রেখে মারধর করা কাজটি মোটেও ঠিক হয়নি। নিন্দা জানানোর ভাষা নেই আমাদের। এমন ঘটনার জন্য দল ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ড.টিএম মাহবুবর রহমানকে দেখা করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে ওবায়দুল্লাহ মাসুদ নেতাকর্মীদের ধৈর্য্য ধারণের জন্য অনুরোধ করেন।
এ সময় জেলা বিএনপির নেতাকর্মী ছাড়াও উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকগণ উপস্থিত ছিলেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ