সান নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের কয়লাঘাটে শীতলক্ষ্যা নদীতে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও নৌপুলিশ। এখন পর্যন্ত ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
আরও পড়ুন: আবারও বায়ুদূষণে বাংলাদেশ শীর্ষে
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, শীতলক্ষ্যার কাঁচপুর সেতুর কাছাকাছি জায়গা থেকে মঙ্গলবার (২২ মার্চ ) ভোরের দিকে এক শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শিশুটির পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে শীতলক্ষ্যার দক্ষিণপাড়ের শাহ সিমেন্ট এলাকায় আবদুল্লাহ আল জাবের নামে এক যুবকের মরদেহ ভেসে আসে। ফায়ার সার্ভিস মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিবার তার পরিচয় নিশ্চিত করে।
নৌ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, দুইজনের মরদেহ তীরে আনা হচ্ছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
এর আগে লঞ্চডুবির সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে সামনে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিল এম ভি রুপসি নামের মালবাহী কার্গো জাহাজ। একপর্যায়ে লঞ্চটি পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময়ে লঞ্চের অনেক যাত্রীরা নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই লঞ্চের যাত্রী মোহাম্মদ জনি জানান, একটি কার্গোবাহী জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিলে মুহূর্তেই যাত্রী বোঝাই লঞ্চটি ডুবে যায়। পরে আমরা অনেককেই সাঁতরে তীরে উঠতে দেখেছি তবে অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। লঞ্চে ৭০ জনের মত যাত্রী ছিল, উপরে যারা ছিলেন তারা সাঁতরে উঠতে পেরেছেন। তবে ভেতরের একজনও বের হতে পারার কথা না।
নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, নৌ পুলিশ ও কোস্ট গার্ডের সদস্যরা। সোমবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লঞ্চটি উদ্ধার করে শীতলক্ষ্যার পাড়ে আনা হয়। তবে লঞ্চের ভেতর কোনো মরদেহ পাওয়া যায়নি।
সান নিউজ/এনকে