বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি প্রকাশ কুমার ঝোলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার (২০ মার্চ) রাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঝোলকে পার্শ্ববতী রাজাগাঁও এলাকা হতে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন: ১৩৩ যাত্রীসহ চীনে বিমান বিধ্বস্ত
পুলিশ জানায়, গত ২ মার্চ সদর উপজেলার মধুপুর গুদামপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এক সন্তানের জননী শিবযাত্রী ধর্মীয় সভা শুনতে পার্শ্ববতী ঢোলারহাট গৌরলাল মন্দিরে যান।একই গ্রামের পুঞ্জিকা সাধক ও তান্ত্রিক প্রকাশ চন্দ্র ঝোল প্রকাশ চন্দ্র ঝোল নামে এক ব্যক্তি ওই নারীকে ফোন করে রুহিয়া বাজারে দেখা করার জন্য অনুরোধ জানায়। সহজ সরল ওই নারী প্রতিবেশির কথা রাখতে সন্ধ্যা ৭ টায় অটোচার্জার গাড়িতে করে রুহিয়া বাজারে আসেন। কিন্তু মৌচাক হোটেলের শ্রমিক মেজর (২৮) ওই নারীকে তার বাসায় নিয়ে যায় এবং তার কোলের শিশুকে জিম্মি করে ফেলেন।
খবর পেয়ে প্রকাশ চন্দ্র ঝোল ওই বাসায় গিয়ে গৃহবধূকে ক্যাথলিক মিশন রেলগেটের গেট কিপার শামীম হোসেনের (৩০) রেলের কোয়ার্টারে নিয়ে যায় এবং গেটম্যান গেটম্যান শামিম হোসেন (৩০), হোটেল শ্রমিক এনামুল হক (৩৫), হোটেল শ্রমিক মেজর (২৮) ও উজ্জ্বল দাস (৩৫) নামে ৫ যুবক মিলে ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, গভীর রাতে ওই গৃহবধূকে মিশনের পশ্চিমে ফাঁকা মাঠে নিয়ে গিয়ে আরেকদফা ধর্ষণ করে।
পরদিন সকালে ধর্ষকরা ওই গৃহবধূকে রেলগেট এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে জানালেও পুলিশ ওই গৃহবধূকে উদ্ধার কিংবা চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান মধুপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী। স্থানীয়রা ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে এবং গেটম্যান শামীমকে আটক করে। কিন্তু শামীম স্থানীয়দের ভুল বুঝিয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার লোহাগাড়া এলাকায় পালিয়ে যায় এবং আত্মগোপন করে।
আরও পড়ুন: কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না
এ ঘটনায় ধর্ষিত ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে প্রকাশ কুমার ওরফে ঝোল, গেট কিপার শামিম হোসেন, হোটেল শ্রমিক এনামুল হক, হোটেল শ্রমিক মেজর ও উজ্জ্বল দাসকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ ধারায় জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আবেদন করে। পরে আদালতের নির্দেশে রুহিয়া থানার ওসি ওই মামলা রুজু করে।
সান নিউজ/এমকেএইচ