সান নিউজ ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় যাত্রীবাহী লঞ্চে ধাক্কা দেওয়া এমভি রূপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজটি আটক করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া কোস্ট গার্ডের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার লুৎফর রহমান।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় ৬ জনের লাশ উদ্ধার
রোববার (২০ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া হোসেন্দী সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে কার্গো জাহাজটি আটক করে গজারিয়া কোস্ট গার্ড ও নৌপুলিশ। এর আগে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর চর সৈয়দপুর এলাকায় রূপসী-৯ জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়। এতে ১৫-২০ জনের মতো যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন।
আমাদের মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন লঞ্চটিতে বেশিরভাগ যাত্রী মুন্সীগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ছিলেন। এখনও পর্যন্ত ৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তবে তাৎক্ষণিক তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যা নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চডুবি
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে জানান, একটি জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেছে। এখনো অনেকে নিখোঁজ।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: গৌরীপুরে শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত
এদিকে, লঞ্চডুবির সেই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়ে সামনে ঠেলে নিয়ে যাচ্ছিল এম ভি রুপসি নামের মালবাহী কার্গো জাহাজ। একপর্যায়ে লঞ্চটি পানিতে তলিয়ে যায়। এ সময়ে লঞ্চের অনেক যাত্রীরা নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই লঞ্চের যাত্রী মোহাম্মদ জনি জানান, একটি কার্গোবাহী জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিলে মুহূর্তেই যাত্রী বোঝাই লঞ্চটি ডুবে যায়। পরে আমরা অনেককেই সাঁতরে তীরে উঠতে দেখেছি তবে অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। লঞ্চে ৭০ জনের মত যাত্রী ছিল, উপরে যারা ছিলেন তারা সাঁতরে উঠতে পেরেছেন। তবে ভেতরের একজনও বের হতে পারার কথা না।
সান নিউজ/এমকেএইচ