সান নিউজ ডেস্ক: ফের ঢাকা-সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে এলাকায় ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) ভোর থেকে সয়দাবাদ থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় থেমে থেমে চলছে যানবাহন।
আরও পড়ুন: জার্মান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
যানজট ও ধীরগতিতে চরম ভোগান্তির শিকার উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীরা জানায়, এ সড়কে যানজট নিয়মিত বিষয়। আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বা সরকারি ছুটি থাকলে তো দুর্ভোগের শেষ থাকে না। শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের অবস্থা বেশি খারাপ হয়। অনেক সময় কাঁচামাল পচে যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে চারলেন নির্মাণ ও নলকা সেতুর সংস্কার কাজ চলমান থাকায় ১৫ মার্চ (মঙ্গলবার) ভোর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে সড়কে যানবাহনের ধীরগতির কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় যা শুক্রবার সকাল পর্যন্তও স্বাভাবিক হয়নি। এতে করে যাত্রী-চালক ও ব্যবসায়ীরা ভোগান্তিতে পড়ছেন।
এ ব্যাপারে ঢাকাগামী কাঁচাপণ্যবাহী ট্রাকচালক মনিরুল ইসলাম জানান, বগুড়া থেকে কাঁচাপণ্য নিয়ে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় পৌঁছানোর পর থেকে সড়কে ধীরগতি ও যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। পরে বাধ্য হয়ে কামারখন্দ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে কড্ডা মোড়ে পৌঁছাই। সেখান থেকেও সয়দাবাদ পর্যন্ত যানজট। সড়কেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যাচ্ছে। সঠিক সময়ে পণ্যগুলো পৌঁছাতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে জানান তিনি।
এদিকে, রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী বাস সোনারতরী এক্সপ্রেসের যাত্রী ইয়াকুব আলী জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করে কিছুটা পথ আসার পর থেকে যানজটে পড়ে আছি। ১০ মিনিটের সড়ক অতিক্রম করতে লাগছে দুই ঘণ্টা। কখন বাড়ি পৌঁছবো ঠিক নেই।
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় মার্কিন নাগরিক নিহত
কামারখন্দ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহীনুর কবীর জানান, মহাসড়কের চারলেন নির্মাণ ও নলকা সেতুর সংস্কার কাজ চলমান থাকায় একলেন দিয়েই ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন চলাচল করাতে হচ্ছে। এতে সয়দাবাদ থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর পর্যন্ত উভয় লেনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যানজট নিরসনে পুলিশ কাজ করছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে নলকা সেতুর কাজ কিছুটা সম্পন্ন হলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ