নিজস্ব প্রতিনিধি,ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে জোরপূর্বক আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মানের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে আদালত অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও নির্মান কাজ বন্ধ করছে না উপজেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন:আজ থেকে স্বরূপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান সহ ৬ ব্যক্তি ২০০৬ সালের ২৮ আগস্ট ওই মৌজার ৭৬৩৫ নম্বর দাগ সহ ৮ দাগে ১ একর ১১ শতক জমি কবলা মূলে ক্রয় করেন। এসএ রেকর্ডীয় মালিক উপেন্দ্র নাথ রায়ের ছেলে ঋষীকেশ রায় সহ তার ওয়ারিশরা ওই জমি বিক্রি করেন।জমিটি কিনে নেওয়ার পর থেকে চাষাবাদ করে আসছিলেন তারা।
চলতি বছরের ৫ জানুয়ারী বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. যোবায়ের হোসেন তার লোকজন নিয়ে গিয়ে বর্ণিত ৭৬৩৫ দাগের ১১ শতক জমিটি সরকারি খাস জমি দাবি করে গমক্ষেত নষ্ট করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেন। শুধু তাই নয়,এ সময় জমির মালিক ও তার ছেলেকে পুলিশ দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয় ইউএনও।
এমতাবস্থায় ১৬ জানুয়ারী জমির মালিক সিদ্দিকুর রহমান সহ ৬ ব্যক্তি বাদী হয়ে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও ধনতলা ইউনিয়ন ভুমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা (তহশীলদার) কে বিবাদী করে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা চেয়ে বালিয়াডাঙ্গী সহকারী জজ আদালতে একটি স্বত্যের মামলা আনয়ন করেন। প্রথমে সমন জারি ও পরে অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করে আদালত। তারপরও উপজেলা নির্বাহী অফিসার আদালতের আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে ৫টি ঘর ।
আরও পড়ুন:ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সুরক্ষায় নীতিমালা
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব না দেওয়ায় ৮ মার্চ জমির শ্রেনী পরিবর্তন না করার জন্য বিবাদীদের প্রতি অস্থায়ী ও অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারী করেন বালিয়াডাঙ্গী সহকারী জজ আদালতের বিচারক শবনম মুস্তারী।
আরও পড়ুন:ইউক্রেনে হামলায় ৯০ শিশু নিহত
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম আলী (বাইট) জানান, বাদী পক্ষ এসএ রেকর্ডীয় মালিক উপেন্দ্র নাথ রায়ের ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করেন।দীর্ঘদিন যাবত ওই জমি ভোগ দখল করে আসছিলেন গ্রহীতারা। আদালতের সমন জারি, শোকজ কোন কিছুকে পরোয়া না করাটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা প্রশাসনের সঠিক হয়নি ।
আরও পড়ুন:করোনা আক্রান্ত বারাক ওবামা
সহকারী কমিশনার(ভূমি) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: যোবায়ের হোসেন বলেন,ধনতলা মৌজার ৭৬৩৫ নম্বর দাগের ১১ শতক জমি সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত। তাই সে জমি উদ্ধার করে গৃহহীন মানুষকে পূনর্বাসনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ন প্রকল্প নির্মান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব শপিংমল বন্ধ
জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমান বলেন,নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ১০০ বিঘার উপরে অতিরিক্ত জমি সরকারের বরাবরে ছেড়ে দেওয়ায় ১৯৬১-৬২ সালের দিকে জমিটি খাস খতিয়ানভুক্ত করা হয়। তাছাড়াও ওই জমিটির কোন নামজারী হয়নি।নামজারি ও খাজনা পরিশোধ ব্যতীত জমি বিক্রি কিংবা রেজিষ্ট্রির কোন সুযোগ নেই।
সান নিউজ/এইচএন