নিজস্ব প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় পাহাড় দখল করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তৈরি ৩৫০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। বুধবার (২৪ জুন) সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সিডিএ লিংক রোডের দুইপাশের ১৬টি পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় উচ্ছেদ কাজে বাধা দেওয়ায় ১০ জনকে কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌহিদুল ইসলাম, আগ্রাবাদ সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুস সামাদ, চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মামনুন আহমেদ এবং হাটহাজারীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) শরীফ উল্লাহ, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় এই অভিযান পরিচালনা করেন।
কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জানান, ‘করোনাভাইরাস দুর্যোগ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে গত দুই মাসে নবনির্মিত সিডিএ লিংক রোডের দুই পাশের পাহাড় কেটে অনেকে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলেন। পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ এবং জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে আজ সারাদিন আমরা ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযান বায়েজিদ এবং সীতাকুণ্ড সীমানা থেকে শুরু হয়ে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যান ক্যাম্পাস এলাকায় এসে শেষ হয়। অভিযানে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তৈরি করা ৩৫০টি ঘর-বাড়ি উচ্ছেদের পাশাপাশি বিদ্যুতের ৩০টি মিটার জব্দ করা হয়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘জালালাবাদ মৌজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে বসবাসকারীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে। এ সময় তাদের হামলায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী দলের দুই কর্মী আহত হন। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাত দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’
অভিযানে পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন– অধিদফতরের পরিচালক (মেট্রো) নুরুল্লাহ নূরী, পরিচালক (অঞ্চল) মোয়াজ্জেম হোসেন, রেলওয়ের এস্টেট অফিসার মাহবুবুল আলম, সিএমপির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (বায়েজিদ জোন) পরিত্রাণ তালুকদার প্রমুখ।