কামরুল শিকদার, বোয়ালমারী প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় ঠিকাদারের কাছে চাঁদা দাবি এবং ঠিকাদারকে মারধর করে টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের একমাত্র পাথর খনির উৎপাদন বন্ধ
শুক্রবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাতে ঠিকাদার মিরাজ মিনা বাদি হয়ে বোয়ালমারী থানায় এক কলেজ ছাত্রকে প্রধান আসামি করে তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে মামলাটি করে। এ ঘটনায় পুলিশ মামলার এক নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করে শনিবার (১২ মার্চ) ফরিদপুর আদালতে পাঠিয়েছে। তবে মামলার অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন রূপাপাত ইউনিয়নের কুমরাইল গ্রামে সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ করছেন ঠিকাদার মো. মিরাজ মিনা। সড়কের বালি ফেলানো শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠিকাদার মিরাজ মিনা কাজ পরিদর্শনে গেলে ওই ইউনিয়নের কুমরাইল গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে আশিকুর রহমান (২১) তার দুই সহযোগী নিয়ে কাজে বাঁধা দিয়ে ঠিকাদারের কাছে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। ঠিকাদার মিরাজ মিনা চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করায় আশিকুর রহমান ও তার সহযোগীরা তার উপর হামলা চালায়।
এ সময় রাস্তার শ্রমিকরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারধর করে আসামিরা। মারধর করার সময় এক পর্যায়ে ওই ঠিকাদারের কাছ থেকে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। ঠিকাদার বাদি হয়ে শুক্রবার দিবাগত রাতে বোয়ালমারী থানায় আশিকুর রহমানকে ১ নম্বর আসামি করে চাঁদাবাজি মামলা করেন। মামলা নম্বর-১১
আরও পড়ুন: ফের গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল
মামলার এক নম্বর আসামি আশিকুর রহমানের মা তানিয়া ইয়াসমিন বলেন, আমার একমাত্র ছেলে এ বছর নবকাম পল্লী কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করে ডিগ্রিতে ভর্তি হয়েছে। আমাদের বাড়িতে আগামী ১৫ মার্চ একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। এ জন্য রাস্তায় বালি ফেলানোর সময় ছেলে আশিকুর ঠিকাদারের লোকজনদের আমাদের বাড়ির সামনে ঠিকমত বালি ফেলার অনুরোধ করে। এ সময় আশিকুরের সাথে লেবারদের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। চাঁদাবাজির কোন ঘটনা ঘটেনি। মিরাজ মিনা মিথ্যা মামলা দিয়েছে তার ছেলের নামে।
ঠিকাদার মিরাজ মিনা বলেন, এলজিইডির ১ হাজার ২০০ মিটার রাস্তার কাজ পাওয়া পর ঠিকমত কাজ করছিলাম। হঠাৎ গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আসামিরা রাস্তার কাজে বাঁধা দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। এক পর্যায়ে তারা আমার ও লেবারদের উপর হামলা চালিয়ে ব্যাগে থাকা ১ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ভাত নিয়ে কোনো কষ্ট হবে না
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে শনিবার বিকেলে বোয়ালমারী থানার ওসি মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, চাঁদা দাবি মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার চেষ্টা চলছে।
সাননিউজ/এমআরএস