এস এম রেজাউল করিম, ঝালকাঠি: জমির অবৈধ দখল নিতে গিয়ে ঝালকাঠিতে চাচাতো ভাই আনিসুর রহমানকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেলার নলছিটি উপজেলার উত্তর ভবানীপুর গ্রামে রোববার (৬ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় ইউক্রেনে মেয়র নিহত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উত্তর ভবানীপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা আনিসুর রহমানকে দুপুরে হত্যাচেষ্টা করেন তার চাচা মো. নুরুল ইসলাম মোল্লা, তার দুই পুত্র সাবির হোসেন মোল্লা এবং মাদক ব্যবসায়ী সাকিল হোসেন মোল্লাসহ কয়েকজন দুর্বৃত্ত। এদের নামে নলছিটি থানায় পুর্বেও মাদকসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন পরে রোববার দুপুর ১টার সময়ে আনিসুর রহমান বাড়িতে পিতার কবরস্থান ও পুকুরের খনন কাজের অগ্রগতি দেখার জন্য গেলে পৈত্রিক জমিজমা ভাগ ভাটোয়ারা সংক্রান্ত আগের শত্রুতার জেরে বাড়ির আশপাশে অভিযুক্তরা অবস্থান নেয়।
অভিযুক্তরা আনিসুর রহমানের সামনে দাঁড়িয়ে বাড়ির সীমানা পিলার তুলে ফেললে তিনি তা ভিডিও করেন এবং তখন নুরুল ইসলামের ছেলে সাবির হোসেন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে বাড়ির মধ্যে থাকা পানিতে ফেলে মোবাইলের তথ্য ও স্মার্টফোনটি নষ্ট করেন। একপর্যায়ে নুরুল ইসলাম ইট নিয়ে এসে আনিসুর রহমানের মাথায় আঘাত করেন এবং চোখ তুলে নেয়ার উদ্দেশ্যে সাকিল হোসেন চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়ায় যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, আটক ৪৫০০
আনিসুর রহমান লুটিয়ে পড়ার সাথে সাথে সাবির হোসেন, সাকিল হোসেন ও নুরুল ইসলাম এবং অজ্ঞাত কয়েকজন মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে ইট ও ধাতব পদার্থ দিয়ে এলোপাথারি মারধর করতে থাকেন। স্থানীয় এলাকাবাসির চেষ্টায় ভুক্তভোগী জীবন রক্ষা পায়। এ সময় অভিযুক্তরা আনিসুর রহমানকে পরবর্তীতে বাড়িতে আসলে আর প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারবে না বলে হুমকি দিয়ে সটকে পড়ে।
এ বিষয়ে আনিসুর রহমান বলেন, পুর্বপরিকল্পিতভাবে অভিযুক্তরা হত্যার উদ্দেশ্যে আমাকে ইট ও ধাতব পদার্থ দিয়ে মাথায় ও শরীরে নির্বিচারে আঘাত করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাকে পরিবারের কাছে দিলেও আমার মাথার আঘাতের কারনে প্রায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত কথা বলতে পারছিলাম না। প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঝালকাঠী সদর হাসাপাতাল থেকে চিকিৎসা নেয়ার পরে কিছুটা সম্বিত ফিরে পেয়েছি। তাদের নামে এর আগেও বেশ কয়েকবার নলছিটি থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এবার মামলা দেয়ার প্রস্ততি নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে
সাকিল হোসেন মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা ছিলো। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির পর ধস্তাধস্তি হয়েছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ