নিনা আফরিন, পটুয়াখালী: জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি) দুমকী উপজেলা প্রকৌশলী নাজিম উদ্দীন (২৭)সহ সহকারি আরও এক প্রকৌশলীকে মারধরের অভিযোগে দুমকী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুমকী উপজেলা প্রকৌশলী নাজিম উদ্দীন বাদী হয়ে সোমবার (৭ মার্চ) সকালে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় একমাত্র আসামি করা হয়েছে হামলাকারী আলোচিত ঠিকাদার গোলাম সরোয়ার বাদল ওরফে মেয়র বাদলকে।
আরও পড়ুন: রুশ হামলায় ইউক্রেনে মেয়র নিহত
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ঠিকাদার পাগলা-হাজিরহাট-ধোপারহাট সড়কে ৯০ মিটার আর সি সি একটি ব্রিজ নির্মাণ করে। রোববার (৬ মার্চ) সকাল পৌনে ১১ টার দিকে ঠিকাদার গোলাম সরোয়ার বাদল উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসে ব্রিজের চুড়ান্ত বিলের আবেদন নিয়ে আসেন।
এ সময় উপসহকারী প্রকৌশলীকে ডেকে এ বিষয় আলোচনা করেন উপজেলা প্রকৌশলী। এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে যৌথ পরিমাপ করে বিল প্রদান করা হবে বলে ঠিকাদারকে জানান, উপজেলা প্রকৌশলী। কিন্তু এ কথার বলার সাথে সাথে ঠিকাদার উপজেলা প্রকৌশলীকে চড় থাপ্পর মারতে থাকেন।
এ সময় উপ সহকারী প্রকৌশলী তাঁকে থামাতে আসলে তাঁকেও মারধর করেন এবং তার পিস্তল দিয়ে দিয়ে সবাইকে গুলি করবেন বলে হুমকি প্রদান করে পটুয়াখালী চলে আসেন।
এদিকে, সহকর্মীর উপর হামলার বিচারের দাবিতে সোমবার বিকেল ৪টায় পটুয়াখালী এলজিইডির সামনে মানববন্ধন করেছে অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা প্রচলিত আইনে দোষী গোলাম সরোয়ার বাদলের বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম সাহাবুদ্দিনসহ বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: সুচরিতা আমার মায়ের মতো
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গোলাম সারোয়ার বাদল জানান, উল্লেখিত ব্রিজের কাজ দেড় বছর আগে শেষ হয়েছে। নানা বাহানায় এলজিইডি বিল প্রদান করছে না। সর্বশেষ ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে বিল প্রদানের বিষয়টি সুরহা হয়। সে মাফিক তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা উপজেলা প্রকৌশল অফিসকে প্রদানও করেন তিনি।
বাকী টাকা বিল পাওয়ার পরে প্রদান করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু টাকা নেয়ার পর বিল প্রদান করতে বেকে বসেন উপজেলা এলজিইডির নেতাকর্মী। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় বলে দাবি করেন তিনি।