নিজস্ব প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় হলেও গণধর্ষণের মামলা করতে চান না ভূক্তভোগী নারীর স্বামী।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারের সঙ্গে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে
জানা গেছে, বুধবার (২ মার্চ) রাতে একদল যুবক ওই গৃহবধূকে ঢোলারহাট বাজার হতে অটো গাড়িতে করে তুলে এনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষিত গৃহবধূর বাড়ি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের মধুপুর গুদামপাড়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রুহিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মধুপুর গ্রামের পুঞ্জিকা সাধক ও তান্ত্রিক প্রকাশ চন্দ্র ঝোল ওই গৃহবধূকে গোপন গল্প করার কথা বলে গত বুধবার ঢোলারহাট বাজার থেকে ডেকে নেয়। সেখান থেকে তাকে রুহিয়া ক্যাথলিক মিশন রেলগেট এলাকায় রেলের গেটম্যানের কোয়ার্টারে নিয়ে আসে। সেখানে তান্ত্রিক ঝোল প্রথমে ধর্ষণ করে। পরে তার বন্ধু রুহিয়া মিশন রেল গেটম্যান শামিম (৩০), এনামুল হক (৩৭), হোটেল শ্রমিক মেজর (২৮) ও উজ্জ্বল দাস (৩৫) নামে অপর চার যুবকও ওই গৃহবধূকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে ধর্ষিতাকে রেলগেট এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মানুষের এখন বেঁচে থাকার সুযোগ নেই
ভুক্তভোগীর স্বামী ভবানী চন্দ্র বর্মন জানান, আমি অত্যন্ত গরীব। দিনমজুরী করে খাই।একদিন কাজ না করলে সংসারে হাড়ি চড়ে না। তাছাড়াও মামলা করলে তারিখে-তারিখে আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আমি না খেয়ে মরব। তাই আমি মামলা করতে চাই না।
এ ব্যাপারে ওই এলাকার সংরক্ষিত আসনের ইউপি সদস্য (সাবেক) বিনা রানী জানান, এলাকার সাধক ঝোল তাকে বিভিন্ন লোভ দেখিয়ে মিশন রেল গেটে নিয়ে যায় এবং গেটম্যানসহ চার যুবক তাকে ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল হক বাবু জানান, একটি মহিলার হারিয়ে যাওয়া, আবার পরের দিন সকালে খুঁজে পাওয়ার ঘটনা শুনেছি। কিন্তু ধর্ষণের বিষয়টি জানি না।
ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোছা. সুলতানা রাজিয়া বলেন, শিশু সন্তানের সামনে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ