শফিক স্বপন, মাদারীপুর: মাদারীপুরে মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় বর্তমান মেম্বার হাবিব হাওলাদারকে (৩২) কুপিয়ে জখম করেছেন পরাজিত মেম্বার মিন্টু শিকদার। ঘটনাটি ঘটেছে মস্তফাপুর ইউনিয়নে। এ ঘটনায় তার আরও পাঁচজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৩০
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়নের বড়মেহের এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। হাবিব হাওলাদার (৩২) মস্তফাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার এবং মনজুর হোসেন মিন্টু শিকদার (৩৮) একই ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী মেম্বার প্রার্থী ছিলেন।
আহতরা হলেন, লাল মিয়া হাওলাদারের ছেলে হাবিব হাওলাদার (৩২), নাসির হাওলাদার (৪৫), ইলিয়াস হাওলাদার (৩৫), মফিজ হাওলাদারের ছেলে ফজল হাওলাদার (৪৫), লালমিয়া শিকদারের হুমায়ুন শিকদার (৩৫), মৃত মফিজউদ্দিনের ছেলে আজিজুল হাওলাদার (৪৫)।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত মিন্টু শিকদার। তিনি মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ডিলার হিসেবে মাদক কেনা-বেচার সাথে জড়িত। সম্প্রতি শেষ হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান মিন্টু শিকদার। এরপর থেকেই বিজয়ী মেম্বার হাবিব হাওলাদারের সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল।
আরও পড়ুন: সিপিবি’র সভাপতি আলম, প্রিন্স সম্পাদক
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে হাবিব হাওলাদার মিন্টু শিকদারকে মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে বলায় দু'জনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। তারই জের ধরে সন্ধ্যায় ৭ টার দিকে মিন্টু শিকদার ও শিহাব শিকদার, মনির শিকদার, রকিব হাওলাদারসহ ২০ থেকে ৩০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হাবিব হাওলাদার ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এসময় হাবিব হাওলাদারসহ তার আরও পাঁচজন আহত হন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছেন তারা।
হাবিব হাওলাদার বলেন, মিন্টু শিকদারকে তার মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে নিষেধ করায় আমার উপর হামলা চালিয়েছে। আমার চিৎকারে আমার ২ ভাই ও আমার সমর্থকসহ কয়েকজন এগিয়ে আসলে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রশাসনের কাছে আমার একটাই দাবি, এই মাদক ব্যবসা আইনের আওতায় এনে যেন সুষ্ঠু বিচার করা হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল
মনজুর হোসেন মিন্টু শিকদার বলেন, আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে মাদারীপুর জেলার বাহিরে আছি। এ ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই। তারা আমার উপর যে অভিযোগ করছেন সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে আমি শুনেছি হাবিব হাওলার ও তার লোকজন আরেকজনের বাড়িতে হামলা করতে যাওয়ায় এলাকার লোকজন তাদের প্রতিহত করেছেন।
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমি ঘটনা শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ এলে আইন-আনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সান নিউজ/এমকেএইচ