জেলা প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ের সদর উপজেলার রুহিয়ায় ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে দ্বন্দ-সংঘর্ষের পর এখন চলছে প্রতিশোধের পালা। এ অবস্থায় অশান্ত হয়ে পড়েছে রুহিয়া। এদিকে সোমবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা রানা ও সুমন নামে ২জন প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১০টার সময় রাশেদুল হকের মার্কেটের শ্যামল চন্দ্র বর্মন স্বর্নকারের দোকানে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রুহিয়া থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আরিফ হোসেন,যুগ্ম আহবায়ক সবুজ মাহমুদ ও যুগ্ম আহবায়ক হেলাল হোসেন রুহিয়া থানার ১নং রুহিয়া ইউনিয়ন,২ নং আখানগর ইউনিয়ন,১৪ নং রাজাগাঁও ইউনিয়ন ,২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ,২১ নং ঢোলারহাট ও ২২ নং সেনুয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষনা করে ৬টি ইউনিয়নে ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়। এতে পদবন্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দেয়। এ নিয়ে গত ২ দিন থেকে অসন্তোষ বাড়তে থাকে ।
গত শনিবার(২৬ ফেব্রুয়ারী) দুপুরের পর থেকে পদ বন্চিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শহরের চৌরাস্তায় মানববন্ধন করার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত তাদের সে কর্মসূচি সফল হয়নি।
ওইদিন রাত ১২ টার দিকে রুহিয়া চৌরাস্তায় পদবন্চিত ছাত্রনেতাদের একটি গ্রুপ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক সবুজ মাহমুদকে ধাওয়া করে মারধোর করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সবুজ মাহমুদ সমর্থিত ছাত্রলীগের কর্মীরা রেলগেট হতে পাথর নিক্ষেপ করতে করতে এগিয়ে আসে।এ সময় উভয়পক্ষ দোকানের খড়ি ও বাঁশের লাঠি নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
সংঘর্ষে পদধারী হযরত আলী, পদবঞ্চিত মানিক ইসলাম, রবিউল ইসলাম , মিঠুন , আব্দুস সাত্তার,হাসু সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহত মানিক ইসলাম(২২),হযরত আলী(২০) ও মিঠুন (১৯)কে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং হাসুকে আটোয়ারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।একদিন থাকার পর হাসপাতাল হতে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়।এতে আহত ছাত্রলীগ নেতাদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে সোমবার(২৮ ফেব্রুয়ারী) রাত ১০ টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মী রানা ও সুমন যুবলীগ নেতা হাসিনুর রহমান সহ শ্যামলের দোকানে গল্প করার সময় ইউনুস আলীর নেতৃত্বে ২০/২৫ জনের একদল যুবক শ্যামলের দোকানে হামলা চালায়।সেখানে ছাত্রলীগ কর্মী রানা ও সুমনের উপর চড়াও হয় এবং এসএস পাইপ দিয়ে সুমনকে মারধোর করে।
এ খবর বন্দরপাড়া এলাকায় পৌছলে রাতেই ৮/১০ জনের একদল গ্রামবাসী চৌরাস্তায় ছুটে আসে এবং হামলাকারীদের ধাওয়া করে।
খবর পেয়ে রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রন্জন রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ দীর্ঘ এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
আরও পড়ুন: শান্তি আলোচনায় মস্কোর ৪ শর্ত
যুবলীগ নেতা হাসিনুর জানান,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে শনিবার ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের মাঝে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়।ওই ঘটনার রেশ ধরে যেন পরবর্তীতে আর কোন ঘটনা না ঘটে সেজন্য রানাকে বোঝাচ্ছিলাম।
আরও পড়ুন: যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ
কিন্তু ওই সময় ইউনুসের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন ছেলে রানাদের উপর চড়াও হয় এবং মারধোর করে।আমি এবং থানা আওয়ামীলীগ নেতা তোফাজ্জল হোসেন বাঁধা দিলেও তারা বাঁধা মানে নি।বরং আমাদেরকেও ধাক্কাধাক্কি করে।
আরও পড়ুন: ডিগ্রির চেয়ে কর্মদক্ষতা বেশি প্রয়োজন
রুহিয়া থানার ওসি চিত্ত রন্জন রায় জানান,কমিটি গঠন নিয়ে ছেলেদের মাঝে এরূপ চোরাগুপ্তা হামলা কারো কাম্য নয়।আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল নেতারা বসে এটির দ্রুত সমাধান করা উচিত।
সান নিউজ/ এইচএন