বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও: দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে নির্মাণ করা হয়েছে একটি মডেল মসজিদ। কিন্তু সেটি কমিটির কাছে হস্তান্তরের আগেই মসজিদের বিভিন্ন দেওয়াল ও ছাদে দেখা দিয়েছে ফাটল। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় মুসল্লীরা।
জানা গেছে, ১২ কোটি ১৫ লক্ষ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় ধরে গণপূর্ত বিভাগের বাস্তবায়নে ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলায় একটি মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে। খায়রুল কবির রানা নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মসজিদটির নির্মাণ কার্যাদেশ পায়।
আরও পড়ুন: বিএনপির ভরাডুবি, আ’লীগের জয়জয়কার
এদিকে, ২০২১ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে নির্মিত একযোগে দেশের যে ৫০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন তার মধ্যে এই মসজিদটিও ছিল। এই মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হলেও এখন পর্যন্ত মসজিদ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়নি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তথ্য মতে, মসজিদে ফ্যান ও এসি ব্যবহারের জন্য বৈদ্যুতিক সাব ষ্টেশন, পৃথক ট্রান্সফরমার স্থাপন ও বজ্রপাত নিরোধক যন্ত্র স্থাপন করা সম্ভব না হওয়ায় মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে কমিটির বরাবরে হস্তান্তর করা হয়নি। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে মসজিদটি কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এদিকে, মসজিদটি কমিটির নিকট হস্তান্তর করার পূর্বেই বা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পূর্বেই ৩ তলা বিশিষ্ট এই মসজিদের বিভিন্ন দেওয়াল ও ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় মুসল্লীরা।
আরও পড়ুন: ওয়ানডে সুপার লিগের শীর্ষে বাংলাদেশ
মডেল মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মাসুদুর রহমান, সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, নিম্নমানের মালামাল দিয়ে কাজ করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে যে কোন মুহুর্তে মসজিদটি ধধ্বসে পড়ার আশংকাও কম নয়। অনেকে বলেন, যেখানে এক ওয়াক্ত সালাদ আদায় হলো না তার আগেই মসজিদে ফাটল মেনে নেয়া যায় না।
মসজিদে ফাটলের সংবাদ জানাজানি হওয়ায় ২৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম.কে.এম নুরুল হাসান সরজমিনে মসজিদটি পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: টিকা না নিলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল
গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এমকেএম নুরুল হাসান মসজিদের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখার কথা স্বীকার করে বলেন, এ জন্য সাধারণ মানুষ আতংকিত হওযার কিছু নেই। তারপরও যেহেতু বিল্ডিংটা আমাদের তৈরি সেটা সুন্দরভাবে হস্তান্তর করার দায়িত্ব পালন করব, ইনশাল্লাহ।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল করিম বলেন, আমি অভিযোগটি মৌখিকভাবে শুনেছি। আমি নিজে গিয়ে একবার পরিদর্শন করব। তাছাড়া আমাদের কাছে এখনও যেহেতু হস্তান্তর করেনি, কাজেই ছোটখাট ত্রুটি মেরামত করে হস্তান্তর করা হবে বলে আমি মনে করি।
সান নিউজ/এমকেএইচ