মাদারীপুর প্রতিনিধি: আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘেঁরের মাছ নিয়ে গেলো প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে বাঁধা দিলে হাত বোমা বিস্ফোরণ করে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামের কৃষ্ণকান্ত ভক্তের বিরদ্ধে।
এবিষয়ে মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন একই ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের সুশীল কির্ত্তনীয়া।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন ভূক্তভোগি পরিবার।
মামলার এজাহার ও ভূক্তভোগির অভিযোগে জানা যায়, উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামে মাছের ঘেঁর করে আসছিল সুশীল কির্ত্তনীয়া। কিন্তু ওই জমি নিয়ে মামলা থাকায় কেউই মাছ ভোগ দখল করতে পারছিলেন না। পরে প্রতিপক্ষ কৃষ্ণকান্ত ভক্ত এক লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। কিন্তু সেই টাকা না দেয়ায় ২১ ফেব্রুয়ারী সকালে ১২ থেকে ১৩ জন লোক নিয়ে সুশীল কির্ত্তনীয়ার মাছের ঘেঁরে জাল দিয়ে সব মাছ ধরে নিয়ে যায়। এসময় সুশীল বাঁধা দিলে কয়েকটি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মাছ নিয়ে যায় কৃষ্ণকান্ত। এতে সুশীলসহ কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারী সুশীল কির্ত্তনীয় বাদী হয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে কৃষ্ণকান্ত ভক্ত, অসীম বাড়ৈ, অচিন্ত বাড়ৈ, জগদীশ বেপারী, কৃষ্ণ বৈরাগী, আনন্দ বেপারী, মনোরঞ্জন বেপারী, কাবুল শিকদার, পূর্ণচন্দ্র ভক্তসহ ১৩ জনের বিরুদ্দ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক মো. ফয়সাল আল মামুন আগামী ৫ মে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেন। তবে এ ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফের দুদকের মামলায় পিকে হালদার
এ ব্যাপারে সুশীল কির্ত্তনীয়া বলেন, আমার কাছে চাঁদা না পেয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ঘেরের সব মাছ ধরে নিয়ে গেছে। আমি মামলা করায় আমাকে প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে। আমি তাদের বিচার দাবী করি।
অভিযোগের ব্যাপারে প্রতিপক্ষ কৃষ্ণকান্ত ভক্তকে বাড়ীতে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীর দাবী, মামলার পর থেকে আসামীরা গা-ঢাকা দিয়েছে।
মাদারীপুর সদর থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, বিষয়টি আদালতে পর্যন্ত গড়িয়েছে। সেখানে যে নির্দেশ দেয়, সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে। কেউ আইন অমান্য করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাননিউজ/এমআরএস