নিজস্ব প্রতিবেদক: জয়পুরহাটে পরকীয়ার জেরে স্বামীকে গলা কেটে হত্যায় নিহতের স্ত্রী সহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় দুই আসামি সেলিম ও আইনুল উপস্থিত ছিলেন এবং নিহত রহিম বাদশার স্ত্রী আকলিমা পলাতক ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় আদালতের বিচারক মো. নূর ইসলাম এ রায় দেন। রায় শুনে আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার শালগ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামে ছেলে মো. সেলিম (৩৩), নিহত রহিম বাদশার স্ত্রী ও ওই উপজেলার দেওগ্রাম ডুগডুগি এলাকার বাসিন্দা আকলিমা (২৭) এবং গোপালপুর গ্রামের মৃত গোলাপ রহমানের ছেলে মো. আইনুল (৩৬)।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, নিহত রহিম বাদশা একজন মাইক্রোচালক ছিলেন। তার সহকারী সেলিমের সঙ্গে তার স্ত্রী আকলিমার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি রহিম জানতে পারেন। তাই রহিমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন সেলিম ও আকলিমা। ২০১৬ সালের ১০ জুলাই রাতে আকলিমা ও প্রেমিক সেলিম তার বন্ধু আইনুলকে নিয়ে রহিমকে মাইক্রোবাসের মধ্যে গলা কেটে হত্যা করেন। পরদিন ১১ জুলাই নিহত রহিমের বাবা শাহাদত হোসেন বাদী হয়ে পাঁচবিবি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: জাকিয়া হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসি
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন পাঁচবিবি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কিরণ কুমার রায় ওই বছরের ১৩ জুলাই প্রেমিক সেলিম মিঞা, ১৪ জুলাই আকলিমা খাতুন ও ১৬ জুলাই আইনুলকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠান। আসামিরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ২০১৬ সালের ২৭ ডিসেম্বর কিরণ কুমার রায় তিনজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
জয়পুরহাট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, পরকীয়ার জেরে স্বামীকে হত্যায় দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মো. নূর ইসলাম নিহতের স্ত্রীসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এর মধ্যে কারাগারে থাকার পর আসামি আকলিমা জামিনে ছিলেন। তার অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা হয়। অন্য দুই আসামি দণ্ডপ্রাপ্ত সেলিম ও আইনুলকে জয়পুরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সাননিউজ/এমআরএস