নিজস্ব প্রতিনিধি, নেয়াখালী: নোয়াখালীর চাটখিলে চাকুরী দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে এক সন্তানের জননীকে (২৩) ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আল মতিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে নিয়ে নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে পিবিআই। এ ব্যাপারে পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়ের বিশেষ পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি। তিনি জানান, মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় এই ঘটনায় এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে পিবিআই।
এর আগে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে নির্যাতনের শিকার নারী বাদী হয়ে চাটখিল থানায় ফুয়াদসহ দুই জনের বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক ফুয়াদ আল মতিন ও সহযোগীকে আসামি করা হয়। মামলা নথিভূক্ত হওয়ার পর পরই পিবিআই নোয়াখালী কার্যালয়কে মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। সোমবার দুপুরে পিবিআই অভিযান চালিয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে কুমিল্লা শহর থেকে ফুয়াদকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পাল্লা বাজারে অভিযুক্ত ওই যুবলীগ নেতার জেনিথ ইসলামী লাইফ ইন্সুরেন্স অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফুল দেয়া নিয়ে চট্টগ্রামে লঙ্কাকাণ্ড
ভুক্তভোগী অভিযোগ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, তিনি আগে ঢাকায় বসবাস করতেন। কিছু দিন আগে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। এরপর তিনি একটি চাকরির খোঁজ করেন। যুবলীগ নেতা ফুয়াদ তাকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। একপর্যায়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি আমাকে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ডেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেন। ওই সময় ফুয়াদের আরেক সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে। শেষে সেও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। একই সাথে তারা আমাকে বিষয়টি কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। তারপর ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে দিয়ে আমাকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করে।
সান নিউজ/এমকেএইচ