নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় স্বামী পরিত্যক্ত এক সন্তানের জননীকে (২৩) চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ফুয়াদ আল মতিনের বিরুদ্ধে। পরে স্থানীয় এক সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ভিকটিমকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।
অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা চাটখিল উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক এবং একই ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের আবু তারাব গ্রামের মতিন প্রফেসর বাড়ির মতিন প্রফেসরের ছেলে।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের পাল্লা বাজারে অভিযুক্ত ওই যুবলীগ নেতার ইন্সুরেন্স অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, তিনি আগে ঢাকায় বসবাস করতেন। কিছু দিন আগে তিনি গ্রামে ফিরে আসেন। এরপর তিনি একটি চাকরির খোঁজ করেন। যুবলীগ নেতা ফুয়াদ তাকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। একপর্যায়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সে আমাকে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ডেকে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে। ওই সময় ফুয়াদের আরেক সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে। শেষে সেও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। একই সাথে তারা আমাকে বিষয়টি কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। তারপর ঘটনাস্থল থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে দিয়ে আমাকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বাধ্য করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চাটখিল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও চাটখিল পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ উল্যাহ পাটোয়ারী বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আমি গত এক সপ্তাহ যাবত ঢাকায় অবস্থান করছি। তবে গত দেড় বছর আগে ওই কমিটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য দেবে সরকার
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের জানান, ভিকটিম ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি আমি শুনেছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ মাঠে রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, আমি ছুটিতে ঢাকায় আছি। এ বিষয়ে ওসির সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ