ফয়সল চৌধুরী, হবিগঞ্জ: দেশের শিল্পপতিদের প্রভাব অনেক বেশি। সরকার ও রাজনিতিবীদরা শিল্পপতিদের উপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। তাদের টাকায় নির্বাচনী প্রচারনা চালান। এসব শিল্পপতিরা অপরিকল্পিতভাবে শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলে দেশের নদ-নদী-জলাশয় ও পরিবেশকে বিপর্যস্থ করে তুলেছেন। তাই পরিবেশ ও নদ-নদী রক্ষার জন্য তাদের বিরুদ্ধে জনগনকে রুখে দাড়াতে হবে। একই সাথে জনগনকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে গন-আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জ টাউন হল মিলনায়তনে শিল্পদূষণ থেকে নদ-নদী ও জলাশয় রক্ষার দাবীতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন জাতিসংঘ উন্নয়ন গবেষণা বিভাগের প্রধান ও বাপার অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ড. নজরুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন ১৯৭১ সালে হবিগঞ্জের তেলিয়াপাড়া থেকে যেভাবে মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়েছিল সেভাবেই শিল্প দূষনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
বাপার নির্বাহী সভাপতি তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্ঠা এডভোকেট সুলতানা কামালের সভাপত্বিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)”র সাধারন সম্পাদক শরীফ জামিল। বাপার হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেলের পরিচালনায় আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বাপা হবিগঞ্জের সভাপতি প্রফেসর ইকরামুল ওয়াদুদ, প্রবীন সাংবাদিক এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, বিশিষ্ঠ কবি ও সাহিতিক তাহমিনা বেগম গিনি, প্রমূখ।
সভাপতির বক্তব্য এডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) দেশের নদ-নদী জলাশয় ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। যেখানেই পরিবেশ ও নদ-নদী দূষনের কবলে পরছে সেখানেই বাপা প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। অতীতেও বাপা হবিগঞ্জের মাধবপুরের পরিবেশ দূষনকারী মার কোম্পানীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে সফল হয়েছে। জনগন যদি রুখে না দাড়ান তাহলে আগামী কযেক বছরের মধ্যই হবিগঞ্জে শিল্প দূষন ও নদী দূষনের মাত্রা তীব্রতায় গিয়ে পৌছবে।
সান নিউজ/এনকে