নিজস্ব প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে এক নারীর হাত থেকে টেন্ডার শিডিউল ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তাৎক্ষণিক গোয়েন্দা সংস্থা ও জেলা প্রশাসনের লোকজন ৫জনকে আটক করে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার শাখায় সিডিউল বক্সের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী সুমি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখায় বেগমগঞ্জের ২৬টি হাট বাজারের এক বছরের ইজারার টেন্ডার জমা দেওয়ার তারিখ ছিল। দিনের শুরুতে কয়েকটি টেন্ডার জমা পড়ে। দুপুর ১২টার দিকে আমি আমার ভাই মো. সোলাইমানের নামীয় বেগমগঞ্জের একলাশপুর বাজারের ইজারার টেন্ডার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার টেন্ডার বক্সে টেন্ডার সিডিউল জমা দিতে গেলে কয়েকজন যুবক আমার হাতে থাকা দরপত্র এবং পাঁচ লক্ষ টাকার ব্যাংক ড্যাপ ছিনিয়ে নেন।
এরপর এক যুবক ছিনিয়ে নেয়া টেন্ডার ও সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ সময় আমার সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে টেন্ডার জমা দিতে আসা লোকজনের মধ্যে। তাৎক্ষণিক আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানালে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ৫জন আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে মহিলা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান
মো.সোলায়মান অভিযোগ করে আরও বলেন, আমি একলাশপুর বাজারে গাছের ব্যবসা করি। ওই বাজার ইজারা নেওয়ার জন্য ১৬ লক্ষ ৫হাজার টাকার একটি সিডিউল ক্রয় করি। আমার বোন আমার পক্ষে টেন্ডার বাক্সে সিডিউল জমা দিচ্ছে ওই সময় কয়েকজন যুবক টেন্ডার সিডিউল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ডিসি অফিসের তিন তলার টেন্ডার বক্সের ওপরের সিসি ক্যামেরা খতিয়ে দেখলে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের শনাক্ত করা যাবে। টেন্ডার ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আমি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
এ ছাড়াও সাহাবুদ্দিন নামে একজনের টেন্টার আর টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও অভিযোগ উঠে। তবে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আবু ইউসুফ বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তারা স্পেসিফিকলি এটা করেছে কিনা আমরা ধরেত পারেনি। তবে টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে ৫জনকে ধরে সারা দিন রেখে বন্ড নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এরা আর এগুলি করবেনা। যারা এটা নিয়ে গেছে শুনছি আরকি। তাদেরকে স্পেসিফিকলি ধরা যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন,টেন্ডার ছিনতাই হয়নি। বাহিরে ঝামেলা হইছে। এ জন্য তাদেরকে আটক করা হয়েছ। তিনি আরও বলেন, টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষে টেন্ডার ছিনতাইয়ের একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সান নিউজ/এনকে