নিজস্ব প্রতিনিধি:
করোনার উপসর্গে মারা যাওয়া ব্যক্তির দাফনের কাজে সহায়তা করায় এক ইমামকে চাকরি থেকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মসজিদ কমিটি বিরুদ্ধে। ফেনীর সোনাগাজীতে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে মসজিদ কমিটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
চাকরি হারানো ইমাম মাওলানা নূর উল্যাহ সোনাগাজী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বক্সআলী ভূঁইয়া বাড়ি জামে মসজিদে ৬ বছর ধরে ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন আলাউল বলেন, ‘ইমাম সাহেব কমিটির অনুমতি না নিয়ে করোনা উপসর্গে মৃত দুই ব্যক্তির দাফন-কাফনে অংশগ্রহণ করায় মুতওয়াল্লিদের মাধ্যমে ইমামের দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে ছুটি দেওয়া হয়েছে।’
ইমামের অভিযোগ, ১৭ জুন বিকালে উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা জিয়াউল হক করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দাফন টিমের সদস্য হিসেবে তিনি দাফন কাজে অংশ নেন। এতে মসজিদ কমিটি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শুক্রবার ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহিত দেয়। তিনি মসজিদে নামাজ পড়তে গেলে তাকে সেখান থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়।
মসজিদের মুতাওয়াল্লী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকায় মসজিদে উপস্থিত ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে আমি জানি না।’
ইসলামিক ফাউন্ডেশন সোনাগাজীর ফিল্ড সুপারভাইজার আলমগীর হোসেন জানান, মাওলানা নূর উল্যাহ সোনাগাজী উপজেলার করোনা বা এর উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়াদের দাফন কমিটির একজন সদস্য। তাকে মসজিদে প্রবেশ করতে না দেওয়ার বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অজিত দেব ও সোনাগাজী পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম খোকনকে অবগত করেছি। তারা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
মতিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউজ্জামান হাবু বলেন, ‘এটি সত্যিই অনেক দুঃখজনক। যেখানে পরিবারের লোকজনকেও অনেক সময় পাশে পাওয়া যায় না। সেখানে তারা সম্পূর্ণ বিনা পারিশ্রমিকে এমন কাজ করছেন। তাদের চাকরিচ্যুত না করে দেখাশোনা করা উচিত। তারা বর্তমান সময়ের বড় যোদ্ধা।’