কামরুজ্জামান স্বাধীন, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের উলিপুরে মাদরাসা সুপার ও এবতেদায়ী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জাল করে মাদরাসার সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নে নাগড়াকুড়া দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার সুপার মাও. মোকছেদ আলী ও ওই মাদরাসার এবতেদায়ী শাখার প্রধান শিক্ষক নূরন্নবী মিয়া'র বিরুদ্ধে এ অভিযোগ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অভিভাবক সদস্য, শিক্ষক প্রতিনিধি ও সহকারি সুপার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জনা যায়, মাদরাসার সুপার মাও. মোকছেদ আলী দীর্ঘদিন থেকে পছন্দের লোক দিয়ে এড-হক কমিটি গঠন করে মাদরাসা পরিচালনা করার কারণে তার অনিয়ম ও দুর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। ওই কমিটির মাধ্যমে সুচতুর সুপার মহোদয় বিভিন্নভাবে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কার্যক্রম, অসাদুপায় অর্থনৈতিক লেনদেন, চাকুরীর প্রলোভন দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়া, সুষ্ঠু শিক্ষা কার্যক্রম ব্যহত করার হীনউদ্দেশ্য শিক্ষা কাঠামো ভেঙে ফেলাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসতেছেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে শিক্ষকদের স্মারকলিপি পেশ কর্মসুচি পালন
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিপ্রায়ে সুপারের মনঃপুত তার ভগ্নিপতি (বোনের স্বামী) মোস্তাফিজার রহমানকে এড-হক কমিটির মাধ্যমে সভাপতি হিসাবে অনুমোদন করে আনেন। এরপর আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেন ওই সুপার। সভাপতির আবাসিক এলাকা মাদরাসা ক্যাসমেন্ট এলাকার বাহিরে। অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, সুপারের এমন অনিয়মের ব্যাপার বুঝতে পেয়ে গত ৮ নভেম্বর তারিখে স্বীয়পদ থেকে পদত্যাগ করেন তারা। পদত্যাগ পত্র প্রদানের পরেও সুপার তাদের স্বাক্ষর জাল করে মাদরাসার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এছাড়াও সুপার ও সভাপতি (সুপারের ভগ্নিপতি) অগ্রণী ব্যাংক উলিপুর শাখা থেকে প্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি ১ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের পায়তারা করতেছেন।
ওই এবতেদায়ী শাখার প্রধান শিক্ষক নূরন্নবী মিয়া বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। ব্যাংক থেকে বিল-বেতন পাশ করার দায়িত্ব প্রতিষ্ঠান প্রধান সুপার মহোদয় তিনি সব বিল পাশ করেন প্রতিষ্ঠানের।
মাদরাসার সুপার মাও. মোকছেদ আলী সাংবাদিককে বলেন, এ ব্যাপারে আপনি কোন নিউজ করবেন না সাক্ষাতে কথা হবে।
নাগড়াকুড়া দারুল উলুম দাখিল মাদরাসার এড-হক কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অস্বীকার করে বলেন, যেহেতু তারা এড-হক কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন তাই আমরা নতুন কমিটি দিতে পারি নাই। তাদের পদত্যাগপত্র বোর্ড গ্রহণ করেন নি। তাদের পদত্যাগে যদি কমিটি ভেঙে যেত তাহলে আমাদের নতুন কমিটি করার নির্দেশনা আসতো যেহেতু তা আসে নাই তাদের ব্যাতিরেখে মাদরাসার যে কাজগুলো করা যায় সেই কাজগুলোই করা হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ্ তারিকুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন কাজটি মোটেও ঠিক করেননি তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বিপুল কুমার বলেন, বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এনকে