সান নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত বগুড়া সদর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় পৃথক পৃথক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত হয়েছে।
এ সময় গুরুতর আহত তিনজনকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট থানার ওসি দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- বগুড়া শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার মোস্তাকিন খানের ছেলে সাদ্দাম হোসেন বাবু (৩৮), দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাজাপুর গ্রামের তসলিম সরদারের ছেলে বাবু সরদার (৩৬) এবং জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ফাঁসিতলা বারাইল গ্রামের ভাদু মণ্ডলের ছেলে আবদুল বারিক (১৮)।
বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, নিহত সাদ্দাম হোসেন বাবু কম্পিউটারের খুচরা যন্ত্রাংশের ব্যবসা করতেন। তিনি শুক্রবার বিকালে বন্ধু আলিফের মোটরসাইকেলে সদরের ঠেঙ্গামারা এলাকা থেকে শহরের দিকে ফিরছিলেন। সন্ধ্যার দিকে নওদাপাড়া এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে পৌঁছলে একটি প্রাইভেটকার ওভারটেক করে এসে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে পেছনে থাকা বাবু মহাসড়কে ছিটকে পড়েন। এ সময় বগুড়াগামী একটি পাথরবোঝাই ট্রাক চাপা দিলে তিনি ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। মোটরসাইকেল চালক বন্ধু আলিফ অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন।
পুলিশ পৌঁছার আগেই স্বজনরা লাশ বাড়িতে নিয়ে দাফন করেছেন বলে জানান তিনি।
দুপচাঁচিয়া থানার ওসি হাসান আলী বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার জিয়ানগর বড়িয়া ব্রিজ এলাকায় বেপারোয়া গতিতে আসা দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আবদুল বারিক, রিফাত ও মারুফ রাস্তায় ছিটকে পড়ে আহত হন। পথচারীরা তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসকরা শিক্ষার্থী আবদুল বারিককে মৃত ঘোষণা করেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য মারুফ ও রিফাতকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এদিকে শনিবার দুপুরে দুপচাঁচিয়া-শিবপুর সড়কের খনিহার এলাকায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে মোটরসাইকেল গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক ব্যবসায়ী বাবু সরদার মারা যান।
আরোহী কাহালু উপজেলার বীরকেদার বাবলাতলার আল-আমিন (৩৫) গুরুতর আহত হন। তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সাননিউজ/এমআরএস