সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় সড়কের দু’ ধারে অর্ধশত মরা গাছ। যখন-তখন সড়কে ভেঙে পড়ছে ডাল। মানুষ চলাচলের এ রাস্তার এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি-পাটকেলঘাটার আঞ্চলিক সড়কের প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকায় যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তার দুই ধারে লাগানো গাছগুলো জেলা পরিষদের। ২০২০ সালের ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে জেলার বিভিন্ন জনপদ।
ঝড়ের প্রভাবে সড়কটির বড় বড় গাছ উপড়ে পড়াসহ অধিকাংশ গাছ দুমড়ে মুচড়ে যায়। উপড়ে পড়া গাছ জেলা পরিষদ অপসারণ করলেও রাস্তার দু'ধারে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া গাছ গুলো অপসারণ করেননি।
তারা আরও জানান, টানা বৃষ্টিতে এলাকাটিতে দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতার ফলে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত গাছগুলো মারা যায়। মারা যাওয়া এসব গাছ অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও কোনো লাভ হয়নি।
গত ২ বছর ধরে এ সড়কটির দু’ধারের মরা গাছগুলো এভাবেই পড়ে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় চলাচল করছেন পথচারীরা এবং জমিতে আবাদ করছে রাস্তার পাশের জমির মালিকরা।
ইসলামকাটি গ্রামের ভ্যানচালক জাহিদ হোসাইন জানান, প্রতিদিন তাকে এ রাস্তায় চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কয়েকদিন আগের ঝড়ে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় অল্পের জন্য রক্ষা প্রাণে পেয়েছেন তিনি। এজন্য তার ভয়টা আরও বেড়ে গেছে।
ভাগবাহ গ্রামের কৃষক জাবের হোসেন জানান, রাস্তার পাশের জমিতে বোরো চাষ করছি। জমির পাশেই রাস্তার সব গাছগুলো মরে গেছে। তাই সবসময় আতঙ্কে থাকি কখন মরা গাছ মাথার উপর ভেঙে পড়ে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, গাছগুলো মরে যাওয়ায় মানুষের চলাচলের বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি জেলা পরিষদকে অবগত করা হয়েছে।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, ওই সড়কের অধিকাংশ গাছ শুকিয়ে যাওয়ায় রাস্তার ওপর ভেঙে পড়ছে। গাছগুলো কেটে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। দ্রুত মরা গাছ গুলো অপসারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভারতে হিজাব বিতর্ক, চটেছে পাকিস্তান
প্রসঙ্গত, সুপার সাইক্লোন আম্পান একটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়। যা বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী ভারতের পূর্বাংশে এবং বাংলাদেশে আঘাত হানে।
বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, ভারতের ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকির মধ্যে ছিল। এ শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এটিই প্রথম সুপার ঘূর্ণিঝড়। তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া।
সান নিউজ/ এইচএন