আমিরুল হক, নীলফামারী: আদালতের রায়ে দীর্ঘ ১০ বছর পর বাবার সম্পত্তি ফেরত পেলেও দখল নিতে পাচ্ছেন না নীলফামারীর সৈয়দপুরের তাহেরুন নেছা তারা। সাম্প্রতি তিনি নীলফামারী সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের মাধ্যমে এই রায় পান। কিন্তু আদালতের রায় পেলেও দখল বুঝে দিচ্ছেন না বিবাদী পক্ষ তাঁর আপন দুই ভাই।
জানা যায়, সৈয়দপুর উপজেলার মুন্সিপাড়া এলাকায় পরিত্যক্ত একটি রেলের কোয়ার্টারে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন তাহেরুন নেছা তারা। খেয়ে না খেয়ে কোনরকম দিন কাটছে তাঁর। এ অবস্থায় যেখানে ভাইদের সহযোগিতা করা উচিত। কিন্তু ভাইরা কোন প্রকার সহযোগিতাই করেনি। এছাড়া বাবা মারা যাওয়ার পর পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ চাইলে নানা কৌশল আটেন আপন দুই ভাই ফিরোজ আলম ও খুরশিদ আলম।
ফলে পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগ পেতে তাহেরুন নেছা ঘুরেন দ্বারে দ্বারে। পরে কোন উপায় না পেয়ে স্বরনাপন্ন হন আদালতের। আদলত তথ্য উপাত্ত, প্রমাণ ও স্বাক্ষীর মাধ্যমে দীর্ঘ শুনানির পর তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির মোট ৪১ শতকের মধ্যে ৫ দশমিক ৯৭৯ শতক জমি বুঝে দিতে রায় ও ডিক্রি দেন।
রায় শুনার পর খুশিতে আত্মহারা হলেও সেই আনন্দ স্থায়ী হয়নি তাহেরুন নেছার। রায় পেয়েও তার ভাগের জমি দখল দিচ্ছেন না আপন ওই দুইভাই। ভাইদের খুন, গুমসহ নানা হুমকি ধামকি পেয়ে দিশেহারা এখন পুরো পরিবার। রায় পাওয়া সম্পত্তি দখলে নিতে আবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গাড়ি বহরে হামলা
তাহেরুন নেছা তারা বলেন, আপন দুইভাইয়ের কাছে বাবার সম্পত্তির ভাগে পেতে অনেক মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছি। কোথাও সাহায্য না পেয়ে আদালতে মামলা করে ডিক্রি পাই। প্রধানমন্ত্রীরও বলেছেন পিতার সম্পত্তির ভাগ মেয়েরাও পাবে। আদালতের রায়েও তা প্রমানিত হয়েছে। রায়ের ৬০ দিনের মধ্যে সম্পত্তি বুঝে দিতে আদালতের নির্দেশও আছে। কিন্তু এখন দেখছি অসৎ ক্ষমতার জোর বেশি। আমি প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমার বাবার সম্পত্তির ভাগ বুঝে দিতে সহযোগিতা কামনা করছি।
সান নিউজ/এমকেএইচ