নিজস্ব প্রতিনিধি, পটুয়াখালী: বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলিতে নিহত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার শহীদ হাবিবুর রহমানের পটুয়াখালীর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের গাজী বাড়িতে শোকের মাতম। মা-বাবা, সন্তান স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের আর্তনাদে ভারী হয়ে আছে আকাশ-বাতাস।
শহীদ সেনা সদস্য হাবিবুর রহমানের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার লতিপুর গ্রামে। তিনি আব্দুল মজিদ সরদারের দ্বিতীয় সন্তান।
নিহত হাবিবুর রহমান বাবা-মা, স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। বড় ছেলে হাসিবুর রহমান (২২) সদ্য ডিপ্লোমা শেষ করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ ভর্তির অপেক্ষায় আর ছোট ছেলে হাবিব বিন হাসান (২০) সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে কর্মরত আছেন।
নির্বাক হয়ে আছেন নিহত হাবিবের বাবা। মায়ের চিৎকারে ভারি হয়ে আসছে আকাশ-বাতাস। বড় ছেলে হাসিবুর রহমান এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না, বাবার মৃত্যু। অভিযানে যাওয়ার আগে বড় ছেলের সাথে ফোনে কথা বলেন শহীদ হাবিবুর রহমান। বলেন, কোন দাবী থাকলে ক্ষমা করে দিও, একটা কাজে বের হচ্ছি।
তারপরও দেশের জন্য নিজের পিতার প্রাণ উৎসর্গকে গর্বের সাথে নিয়েছেন।
বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় বান্দরবানের রুমা জোনের একটি টহল দল এর সাথে সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময়ের ঘটনায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিব শহীদ হয়। এসময় তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত এবং একজন সেনা সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
সেনাবাহিনীর টহল দলটি উক্ত এলাকায় পৌঁছালে পাড়ার নিকটস্থ একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিত গুলি বর্ষণ করে। জবাবে সেনা টহল দলের সাহসী পাল্টা হামলায় সন্তু লারমার মদদপুষ্ট জেএসএস মূল দলের তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়।
এ সময় সন্ত্রাসীদের এলোপাথারি গুলিতে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই শাহাদাত বরণ করেন এবং সৈনিক ফিরোজ নামে এক জন সেনাসদস্য ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। আহত সেনা সদস্যকে আজ সকালে রুমা হতে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
সান নিউজ/এনকে