আমিরুল হক, নীলফামারী প্রতিনিধি: সততার পরিচয় দিতে গিয়ে বিকাশ প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়েছেন নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপে বিকাশ এজেন্টের টাকা পরিশোধ করে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছেন ওই ছাত্রী।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩ টার দিকে শহরের ক্যান্ট বাজারের জননী বুটিক হাউস এন্ড ক্লথ স্টোরে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর থানার এসআই নারায়ন চন্দ্র রায়। তিনি জানান, প্রতারণার ফাঁদে পড়ে জননী বুটিক হাউস এন্ড ক্লথ স্টোরের বিকাশের এজেন্ট নাম্বার থেকে দুটি নাম্বারে ২০ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা পাঠান ওই ছাত্রী। প্রতারণা করে যেসব নাম্বারে টাকা নেওয়া হয়েছে সেই নাম্বারগুলো শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার দুজনের যে কেউ বাদী হয়ে থানায় মামলা করতে পারবেন। তারা মামলা না করলেও পুলিশ প্রতারক চক্রকে চিহিৃত করে ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: বিল্ডিংয়ের কাজ না পেয়ে ঘরের মালিককে গুলি
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলেন, বিকাশ হেড অফিস থেকে কল করেছি বলে এক ভদ্র লোক আমাকে বলেন, আপনার বিকাশ একাউন্ট হালনাগাদ করতে হবে। তাই আপনার সর্বশেষ কত টাকা উত্তোলণ করেছি জানতে চান। আমি তাকে জানালে তিনি বলেন, আপনার নম্বরে ৬ ডিজিটের একটি কোর্ড গেছে সেটি আমাকে বলেন। আমি তা জানানোর সাথে সাথে তিনি আমাকে বলেন আমি ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা কমিশন পাবো। আমাদের বিকাশ থেকে এ অফার মাত্র ১১ জন পেয়েছে। আপনি তার মধ্যে একজন ভাগ্যবান। টাকা পেতে আপনার একাউন্টে ২০ হাজার করে ৪০ হাজার সেন্ড মানি করতে হবে। আমি তাঁর কথা সরল মনে বিশ্বাস করে এ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ৪০ হাজার টাকা আমার মোবাইলে সেন্ড করতে বলি। কিন্তু পরে আমার মোবাইলে ব্যাললেন্স চেক করে দেখি কোন টাকা নাই।
দোকান মালিক বলেন, ওই ছাত্রী এসে জানান একটি বিকাশ নাম্বারে টাকা পাঠাবেন। প্রথমে ২০ হাজার টাকা নেন তার নাম্বারে। তখন ক্যাশ চাইলে তিনি মোবাইলে কারো সাথে কথা বলতে বলতেই বলেন, আরও পাঠাবেন এবং একসাথে পরিশোধ করবেন। এভাবে ৪০ হাজার টাকা পাঠানোর পর যখন টাকা চাওয়া হয় তখন তিনি তার বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে ফেরত দিতে গিয়ে দেখেন তার অ্যাকাউন্টে কোনো টাকা নেই। আর যে নাম্বারে কথা বলেছিল সেই নাম্বারও বন্ধ করে ফেলেছে। তখন বুঝতে পারেন তিনি প্রতারক চক্রের হাতে পড়েছেন।
সান নিউজ/এনকে