নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে জহুরুল ইসলাম নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পায়েল রগ কেটে হত্যা করা হয়। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (২৮) দুপুরে নগরীর ভদ্রা রেলওয়ে কলোনী এলাকায় রেলওয়ের জায়গায় ধান চাষ নিয়ে বিরোধে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জহুরুল ইসলাম রেলওয়ের পোর্টার পদে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমনুরা স্টেশনে কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১০ ইউনিট
তিনি নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও শ্রমিক লীগের রেলওয়ে ওপেন লাইন শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন।
জানা গেছে, হাজরাপুকুর এলাকার বাসিন্দা ও রেলওয়ের পোর্টার জহুরুল তার বাড়ির পাশে রেলওয়ের একটি জায়গায় চাষাবাদ করতেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরধরে একই এলাকার মতিয়ারের ছেলে সজীব ও তার সহযোগীরা জহুরুলকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করতে জহুরুলের পায়ের রগ কাটা হয়। হত্যায় অভিযুক্ত সজীবও রেলওয়েতে কর্মরত। সজীব ও জহুরুল ওই জমি চাষাবাদ করতেন। ওই জায়গা নিয়েই তাদের ভিতরে দ্বন্দ্ব চলছিলো।
আরও পড়ুন: সৈয়দপরে শোয়ার ঘরে ব্যবসায়ী খুন
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন জানান, রেলওয়ের জমিতে ধানের চারা রোপণ নিয়ে দুপুরের দিকে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে সচিব জহুরুলকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমরান হোসেন জানান, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে এরই মধ্যে জড়িত সন্দেহে মতিহার নামে একজনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ