নিজস্ব প্রতিনিধি, গুরুদাসপুর (নাটোর): নাটোরের গুরুদাসপুরে যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে নববধূকে বিকৃত যৌন নির্যাতনের ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গুরুতর অসুস্থ হয়েছেন। পরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ওই নারী। এ ঘটনায় স্বামী মুক্তার হোসেনকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী নারীর পিতা বাদী হয়ে গুরুদাসপুর থানায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত মুক্তার হোসেন গুরুদাসপুর পৌর সদরের মানিক উল্লাহর ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে গভীর রাতে আ’লীগ নেতার বাড়িতে হামলা
পুলিশ ও ভুক্তভোগী নারীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গুরুদাসপুরে এক দিনমজুরের মেয়ের সাথে সাত মাস আগে মুক্তার হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকলোভী মুক্তার হোসেন নববধূকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। এছাড়া প্রায়ই যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে বিকৃত যৌন নির্যাতন করতেন মুক্তার হোসেন। এরই মধ্যে গত ২৩ জানুয়ারি গভীর রাতে মুক্তার হোসেন নববধূর যৌনাঙ্গে ও পায়ুপথে বিকৃত যৌন সঙ্গম করলে অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণে ওই নববধূ অসুস্থ হয়ে যান। পরে তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার করে গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক অরিফা আফরোজ বানু জানান, ভুক্তভোগী নারী বিকৃত যৌনাচারের আলামত নিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রে আসেন। স্বামী-স্ত্রী মধ্যে যৌন নির্যাতনের বর্ণনা রোগীর মুখে শুনেছি। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকেই নিয়মিত যৌন উত্তেজক বড়ি খেয়ে তাঁকে বিকৃত যৌন নির্যাতন করতেন স্বামী মুক্তার হোসেন।
অন্যদিকে, গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন জানান, গৃহবধূর পিতা বাদী হয়ে মেয়ে জামাই মুক্তার হোসেনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। পরে অভিযুক্ত মুক্তার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ