শফিক স্বপন মাদারীপুর: মাদারীপুর স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় পৌরভবন উপকেন্দ্রে গত বছর ২ সেপ্টেম্বর থেকে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে। যা এখনো চলমান রয়েছে। সরকারি হাসপাতাল কেন্দ্রগুলো ছাড়া একমাত্র পৌর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় এ কার্যক্রম গ্রহণ করায় একদিকে যেমন সরকারি টিকাদান কেন্দ্রেগুলোতে ভিড় কমেছে।
অন্যদিকে করোনা টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। কোনো ধরণের ভোগান্তি ছাড়া সরকারি বিধি অনুযায়ী টিকা নিতে পেরে আনন্দবোধ করছেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সুশৃংখলভাবে শত শত নারী-পুর“ষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন।
মিউনিসিপ্যাল এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ-এর সেক্রেটারি জেনারেল মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ খালিদ হোসেন ইয়াদ বলেন, সারা বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হয় সাধারণত সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেখানে আমরা মানবিক দিকটা বিবেচনা করে পৌরসভায় একটি করোনার টিকাদান উপকেন্দ্র চালু করেছি। এখানে পৌরসভার লোকজন ছাড়াও মাদারীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন টিকা নিতে পারবেন এবং নিচ্ছেন। এখানে ১ম ডোজ, ২য় ডোজ এবং বুস্টার ডোজও চলমান আছে।
আরও পড়ুন: টাকা নিতে গিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন
আমাদের পৌরসভার যারা টিকাদান কর্মী আছে তার নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমাদের অনলাইনের কাজে সহায়তা করছে বিডি ক্লিন নামে একটা এনজিওর স্বেচ্ছাসেবীরা। টিকাদান করেন পৌরসভার কর্মীরা। এখানে আর্থিক দিকটাও আছে যা পৌরসভা থেকে ব্যয় করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১৮ বছরের উর্ধে প্রায় ৪০ হাজার মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে।
সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করছেন পৌরসভার মেডিকেল অফিসার ডাঃ হরষিত বিশ্বাস, সচিব খন্দকার ফিরোজ ইলিয়াস, কাউন্সিলরবৃন্দ ও স্বেচ্ছাসেবকরা। সারা বাংলাদেশের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম আমরা মাদারীপুর পৌরসভা এবং সাভার পৌরসভা চালিয়ে যাচ্ছি।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডাঃ মুনির আহমেদ খান বলেন, মাদারীপুরের অন্যান্য পৌরসভায় লোকবল নেই, তাই মাদারীপুর পৌরসভা উপকেন্দ্রে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ