মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জে পুকুর থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এতে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নিহত অটোচালক হিমেল মীরের (২৩) অটো চুরি করতে তাকে নিজ বাড়িতে কৌশলে গত ১৪ জানুয়ারি রাতে ডেকে নেয় একই এলাকার মুসা সরকার (৪৫)। পরে সেখানে তাকে নেশা জাতীয় পদার্থ খাইয়ে প্রথমে তাকে অচেতন করা হয়। পরে তাকে খুন করে বস্তায় ভরে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মল্লিক রায়ের দিঘিতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে হিমেল মীরের অটোটি নিয়ে বিক্রি করে দেয়। নিহত হিমেল সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের গোসাইবাগ এলাকার সাইজউদ্দিন মীরের ছেলে। এ ঘটনায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোমবার রাতে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে
আটককৃতরা হলো, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভিটি হোগলা গ্রামের মুসা সরকার (৪৫), পটুয়াখালী জেলার মো. নজরুল ফরাজী (৩০) ও সবুজ চৌকিদার (২৮), মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মো. আবুল হোসেন (৪০) ও মো. মোশারফ হোসেন (৩৮) ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রাসেল মনির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. আদিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মিনহাজ উল ইসলাম, অসি (ডিবি) আবুল কালাম আজাদ, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু বক্কর সিদ্দিকসহ জেলার ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি সদর উপজেলার মুক্তারপুর এলাকার মল্লিক রায়ের দিঘি থেকে (অঞ্জাত) হিমেল মীরের মরদেহ হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সেদিন সকালে ওই দিঘিতে বস্তা বন্দি কিছু একটা ভাসছিল। সেখান থেকে উৎকট পঁচা গন্ধ আসছিল। বস্তার পাশ দিয়ে মাছি ভনভন করছিল। স্থানীয়রা বস্তার সামনে গেলে ভিতরে মানুষের লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠায়।
সান নিউজ/এমকেএইচ