আমিরুল হক, নীলফামারী: গিনেস বুকে একদিনে দুটি ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করল নীলফামারীর সৈয়দপুরের নাফিস ইসতে অন্তু। হাতের ব্যবহার ছাড়া কলা খেয়ে ও দ্রুততম সময়ে ১০টি মাস্ক পরিধান করে এ রেকর্ড করেন। অন্তু সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। আর উপজেলার নীলকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ইউনূছ আলী ও নাসমুন নাহার দম্পতির বড় ছেলে।
অন্তুর বাবা ইউসূছ আলী বলেন, ছোট্ট থেকে যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলার আগ্রহ অন্তুর। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে সে বিভিন্ন ডিভাইস ও যন্ত্রপাতি কেনে। করোনাকালে স্কুল বন্ধ থাকায় গিনেস রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা জাগে অন্তুর। প্রথমে স্ট্যাপলারের পিন দিয়ে শিকল তৈরি করে রেকর্ড গড়ার চেষ্টা করে সে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের জর্জ পিলের ৭.৩৫ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে মাত্র ৭.১৬ সেকেন্ডে পরিধান করে ১০টি সার্জিক্যাল মাস্ক। পাশাপাশি হাতের ব্যবহার ছাড়াই মুখ দিয়ে কলার খোসা ছাড়িয়ে ৩০.৭১ সেকেন্ডে খেয়ে কানাডার মাইক জ্যাকের ৩৭.৭ সেকেন্ডের রেকর্ড ভেঙে দেয়। এর ফলস্বরূপ অন্তু ১৯ ডিসেম্বর হাতে পেয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের দুটি সনদপত্র। অল্প বয়সে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ায় আমিসহ তার সহপাঠী ও শিক্ষকেরা খুব আনন্দিত।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের ব্যাংক হিসাব তলব
গিনেস বুক রেকর্ডধারী অন্তু জানায়, করোনাকালীন পড়ালেখার পাশাপাশি টেলিভিশনে দেখে ইচ্ছে জাগে গিনেস ওয়ার্ল্ডে রেকর্ড গড়ার। তারপর অনেক পরিশ্রম করে দুটি রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছি। আর একটি রেকর্ড গড়ার প্রস্তুতি চলছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন আমি যেন আমার শেষ ইচ্ছেটা পূরণ করতে পারি।
অন্তুরের মা নাসমুন নাহার বলেন, আমার ছেলে ছোট থেকেই বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেনা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। পোশাক কেনার তার কোনো চাহিদা নাই। আমরা যা কিনে দেই সে তাতেই খুশি থাকে। একটু সময় পেলেই যন্ত্রপাতি নিয়ে বসে। প্রতিনিয়তই তার নতুন কিছু আবিস্কারের চিন্তা। তবে সে যে বিশ্ব রেকর্ড করেছে এতে আমরা গর্বিত।
সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অন্তু নিজের চেষ্টায় গিনেস ওয়ার্ল্ডে দুটি রেকর্ড গড়েছে। শিক্ষকেরা তার কাজে উৎসাহ ও সহযোগিতা করেছেন। আমর প্রতিষ্ঠানের সকলেই গর্বিত যে, এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বাইরে গিয়েও ভালো কিছু করছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ