নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে বিজয়ী এক কাউন্সিলর প্রার্থীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ হামলায় বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীর ভাইসহ ৭জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রবিববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফখরুদ্দিন মাহমুদ ফখরুলের সোনাপুর বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো- সাব্বির (২৬) রিয়াজ (২২) হৃদয় (২০) ইসমাইল (৩০) রাহিম (২৮) মিলন (২৪) শান্ত (২৬)।
ভুক্তভোগী নোয়াখালী পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফখরুদ্দিন মাহমুদ ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, আমি তৃতীয় বারের মত কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। আজকে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন মিঠুকে ১হাজার ৮০০শত ভোটে পরাজিত করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হই। রাত ৮টার দিকে এলাকাবাসী আমাকে ফুলের মালা দিতে আমার বাড়িতে। ওই সময় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক সিএনজি কামাল তার প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় আকস্মিক তার সন্ত্রাসী বাহিনীসহ আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে একটি পিকআপ,সাউন্ড বর্কস,দুটি দোকান ভাঙচুর চালায়। এ হামলায় আমার ভাইসহ ৭জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৪জনের অবস্থা গুরুত্বর। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে নোয়াখালী পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রিয়াজ উদ্দিন মিঠুর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়। তবে তার একাধিক অনুসারী সূত্রে জানা যায়, ফখরুদ্দিন কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলার ঘটনার পর তার অনুসারীরা তার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর এক সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালায়।
জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নোয়াখালী পৌরসভানোয়াখালী পৌরসভা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন,নির্বাচনে পরাজয়ের জের ধরে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী ও তার অনুসারী সিএনজি কামালের নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী কাউন্সিলর। এ ঘটনায় বিজয়ী কাউন্সিলর প্রার্থীর ৩ অনুসারী আহত হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাননিউজ/এমআর