নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) দিনগত রাতে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাজফুজা আক্তার স্বাক্ষরিত বার্তাশিট থেকে এ তথ্য জানা যায়। এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোট নেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচনে ১৯২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। কোনো কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়নি। নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের মোট ভোটার সংখ্যা রয়েছেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫১জন। তাদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৯১ হাজার ৩৮২ জন। ভোট বাতিল হয়েছে ৪৭১টি। অর্থাৎ ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থীর মধ্যে খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেওয়াল ঘড়ি) পেয়েছেন ১০ হাজার ৭২৪ ভোট, স্বতন্ত্র থেকে বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি) পেয়েছেন ৯২ হাজার ৫৬২ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা) পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৮৭ ভোট, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৯ ভোট।
এছাড়া বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) পেয়েছেন ১ হাজার ৯২৭ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া) পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৫ ভোট এবং বাংলদেশ আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা) পেয়েছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৭ ভোট। অর্থাৎ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তৈমুরের থেকে ৬৬ হাজার ৫৩৫ বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন আইভি।
আইভী এবার তৃতীয়বারের মতো মেয়র পদে নির্বাচিত হলেন। ২০১১ সালে স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৬ সালে দলীয় প্রতীকে ভোট হলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার নির্বাচিত হন।
২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর নাসিকে এবারের নির্বাচন তৃতীয়বার। প্রথমবার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোয় ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার ভোট হয় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে।
সাননিউজ/এমএসএ