গিয়াস উদ্দিন রনি, নোয়াখালী: নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাচন আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে টাকা দিয়ে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী উটপাখি প্রতীকের আবুল কালাম সুজনের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টেবিল ল্যাম্প প্রতীকের জাহিদুর রহমান শামীম।
জাহিদুর রহমান শামীম বলেন, আসন্ন নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনিসহ ৪জন কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। নির্বাচনের মাঠে তার প্রতিদ্বন্দ্বী উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম সুজন ভোটার শূন্য হয়ে পড়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে পৌরসভার আইয়ুবপুর গ্রামে আবুল কালাম সুজন একই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তাজুল ইসলামসহ ভোটারদের ঘরে ঘরে যান। এ সময় ভোটাররা তাদের প্রত্যাখান করলে তারা কৌশলে ভোটারদের নতুন টাকা দিয়ে প্রভাবিত করেন। এসময় ভোটারা তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং উটপাখি প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম সুজনসহ তার লোকজনকে ধাওয়া করলে তারা দ্রুত ওই এলাকা ত্যাগ করেন।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম সুজন এবং সাবেক কাউন্সিলর তাজুল ইসলামের সাথে টাকা দিয়ে ভোট কিনায় (ক্রয়) স্থানীয় ভোটাররা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ সময় এক যুবক ক্যামেরায় ভিডিও করতে গেলে সাবেক কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম বলেন ছবি উঠাচ্ছেন কেন?
তখন ওই যুবক বলেন, আপনারা টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন তাই। এরপরই এক পুরুষ ভোটারকে বলতে শুনা গেছে, আপনারা কেন টাকা দিচ্ছেন, টাকা দেওয়া উচিৎ নয়! ২০০ টাকা করে কেন দিচ্ছেন? এসময় ওই ভোটারকে সাবেক কাউন্সিলর তাজুল ইসলাম হুমকি দিলে তিনি বলেন আমাকে হাইকোর্ট দেখাইয়েন না। পরে তারা দূত ওই স্থান ত্যাগ করতে দেখা গেছে।
অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থী আবুল কালাম সুজন জানান, এই ভিডিও’র কোন সত্যতা নাই। প্রতিপক্ষ আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আমার ভোট নষ্ট করতে চেষ্টা করেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রবিউল আলম অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ